আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বরিশালে নির্মিত শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল পরিদর্শন করে দেখেছি, আধুনিক এ হাসপাতালটির চারতলা ভবন খুবই সুন্দরভাবে তৈরি হয়েছে। হাসপাতালটি চালুর লক্ষ্যে সব কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যে এটি শিশু ও মায়েদের জন্য খুলে দেওয়া হবে এবং তারা সেখানে ভালো চিকিৎসা পাবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ক্যান্সার, কিডনি ও হৃদরোগের চিকিৎসায় হাসপাতালের জন্য নতুন অবকাঠামো নির্মাণ হচ্ছে। এই ধরনের হাসপাতাল আট বিভাগে আটটি হচ্ছে। ফলে আট বিভাগে প্রায় চার হাজার বেড হবে। এর মাধ্যমে দেশের লোক দেশেই উন্নত চিকিৎসা পাবেন এবং বিদেশে যাওয়া লাগবে না। এ হাসপাতাল চালুর পর ক্যান্সারে আক্রান্ত রোগীরা এখানে চিকিৎসা নিতে পারবেন। ঢাকায়ও যাওয়া লাগবে না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) সকালে বরিশাল নগরীতে নির্মাণাধীন শহীদ সুকান্ত বাবু শিশু হাসপাতাল, বিভাগীয় ক্যান্সার হাসপাতাল ও শেবাচিম হাসপাতাল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে আরো বলেন, বর্তমানে দেশে কিডনি ও হৃদরোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা অনেক বেড়েছে, যার মাধ্যমে প্রায় ৭০ শতাংশ লোকের মৃত্যু হচ্ছে। আমাদের সচেতন হতে হবে যাতে এসব রোগ না হয়। আগে থেকে সচেতন হলে রোগগুলোও কম হবে। আর হয়ে গেলে চিকিৎসা নিতে হবে। সেদিকে খেয়াল রাখছে সরকার। তাই দেশের নির্মাণাধীন হাসপাতালগুলো চালু হলে ঢাকার ওপর আর চাঁপ পরবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের আট বিভাগের পুরোনা হাসপাতালের প্রত্যেকটিতে এক হাজার করে বেড বা শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল ঘুরে যা বুঝলাম, তাতে এখানে এক হাজার বেডেও কাজ হবে না, আরও বেশি লাগবে। মন্ত্রী আরো বলেন, শেবামেক হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে যা দেখলাম, তাতে চিত্রটা ভালো মনে হলোনা। কারণ অনেক বেশি রোগী। যেকারণে মেঝেতে পা ফেলারও জায়গা নেই। রোগীরা যেভাবে চিকিৎসা নিচ্ছেন, তা আমাদের কাঙ্খিত নয়। আমরা চাই দেশের প্রত্যেক রোগী বেডে থেকে সসম্মানে চিকিৎসা নেবেন। এটাই প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকার, নির্দেশনা, ইচ্ছে ও আশা। তাই আমরা চেষ্টা করছি তা বাস্তবায়নের।
মন্ত্রী আরও বলেন, শেবামেক হাসপাতালের পুরোনো ভবনের মেঝে ও দেয়াল ঠিক নেই। প্রায় ৬০ বছর হয়ে গেছে ভবনের বয়স, ফলে এখানে অবকাঠামোর খুবই অবনতি হয়েছে। আমি মনে করি এখানে নতুন অবকাঠামো হওয়া প্রয়োজন। এখানে যন্ত্রপাতি ও অবকাঠামোসহ যা যা প্রয়োজন তা দেওয়া হবে। হাসপাতালের কর্মীদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, আপনারা নিজেরা উপস্থিত থাকবেন, যন্ত্রপাতি সচল রাখবেন, হাসপাতাল পরিস্কার রাখবেন। যারা সেবা নিতে আসবে তাদের উন্নত সেবা দেওয়ার চেষ্টা করবেন। পরিদর্শনকালে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও বিভিন্ন হাসপাতালের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।