আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৫ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥
উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরে ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার কচা নদীর তীরের পাড়ের হাটে সামুদ্রিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশন।
২০১৬ সালের ২৫ অক্টোবর দেশের ৩টি উপকূলীয় জেলার ৪টি স্থানে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্পের অনুমোদন দেয় জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি একনেক। ৫৯ কোটি ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালী জেলার আলিপুর ও মহিপুর, লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি ও পিরোজপুরের পাড়েরহাটে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হয়।
পিরোজপুরের জেলা মৎস্য অফিসার মোঃ আজাহারুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র স্থাপনের মাধ্যমে মৎস্য অবতরণের বাঁধা বিপত্তি দূর করা, মৎস্য সংরক্ষণ ও বাজারজাত করণ ব্যবস্থার উন্নয়ণের লক্ষ্য নিয়ে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এখানে মৎস্য আহরণ, প্রক্রিয়াকরণ, প্যাকেজিং ওবিপণন কাজে জড়িতদের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
এছাড়া যেসকল মহিলা মাছ বাছাই, প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকিং সংক্রান্ত কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত তাদের বর্ধিতহারে কর্মসৃজন ও দারিদ্র বিমোচনে এ প্রকল্প গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পিরোজপুর সদর উপজেলার মৎস্য অফিসার সৈকত মল্লিক জানান, প্রকল্প এলাকায় আহরণকৃত মাছের ৫০ ভাগ পোষ্ট হার্ভেষ্ট লচ কমিয়ে আনা, আহরণকৃত মাছের গুনাগুণ বজায় রেখে ফ্রিজার ভ্যানের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহের সুবিধা বৃদ্ধি করা সম্ভব হবে।
বঙ্গপসাগরের খুব কাছাকাছি এপাড়েরহাটে এ লক্ষ্যে অকশন শেড, প্যাকিং শেড, ইন্সপেকশন রুম, অফিস ভবন, ৪০টি আড়ৎ ঘর ভবন, আবাসিক ভবন, আইসপ্ল্যান্ট ভবন, পাবলিক টয়লেট, ট্রাক পার্কিং এরিয়া, জেটি, গ্যাংওয়ে ও পল্টুন, গভীর নলকূপ, বৈদ্যুতিক সাবস্টেশন, জেনারেটর, কোয়ালিটি কন্ট্রোল ল্যাবসহ অত্যাধুনিক সকল সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমুদ্রে মাছ আহরণ করা ট্রলার মালিক বিমল দাস জানান, এ আধুনিক মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করার দাবি আমাদের এ অঞ্চলের ট্রলার মালিক এবং মাছ ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের।
অবশেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম এর নির্দেশে গত অক্টোবরে এ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ দ্রুত শেষ করা হয়। এখন এ অবতরণ কেন্দ্রে বিপুল পরিমাণ ট্রলার প্রতিদিন সামুদ্রিক মাছ নিয়ে নোঙর করবে এবং এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে গতি আসবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মাছ ব্যবসায়ীরা এখানে এসে সামুদ্রিক বিভিন্ন ধরনের মাছ কিনে নিতে পারবে।