আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:৫৬ অপরাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
বাউফলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বর্ধিতসভা নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

বাউফলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বর্ধিতসভা নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

বাউফলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও বর্ধিতসভা নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা

নিজস্ব প্রতিবেদক॥

পটুয়াখালীর বাউফলে উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় হিসেবে পরিচিত জনতা ভবনে শান্তি সমাবেশ ডেকেছে উপজেলা আওয়ামীলীগের আ স ম ফিরোজ এমপি সমর্থিত একাংশ। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের অপরাংশের নেতা ও কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে।

উপজেলা আওয়ামীলীগের দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান সাংসদ আ স ম ফিরোজ ১৯৭৯ সালে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ওই সময়ে এমএ ওয়াদুদ মিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। নির্বাচন পরবর্তী ১৯৮০ সালে ওয়াদুদ মিয়াকে সাধারণ সম্পাদক করে আ স ম ফিরোজ সভাপতি হন। সেই থেকে তিনি দলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৮৬ সাল থেকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আ স ম ফিরোজের নিজস্ব সম্পত্তি জনতা ভবন দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।

এই ভবনটিকে ঘিরে রয়েছে নানা অভিযোগ। এ পর্যন্ত উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন ৪ জন। অভিযোগ রয়েছে এরা কেউ সম্মান নিয়ে আ স ম ফিরোজের দলীয় কার্যালয় (জনতা ভবন) থেকে বিদায় নিতে পারেনি। সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমএ ওয়াদুদ মিয়া ও এ্যাডভোকেট মো. ইউনুচ মিয়া মারা গেছেন।

এছাড়া সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. জসিম উদ্দিন ফরাজী অভিযোগ করে বলেন, এখানে বসে দলীয় সকল স্বেচ্ছাচারী সিদ্ধান্ত আসে যার কারণে বিভিন্ন সময় তাদেরকে দলীয় পদ হারাতে হয়েছে এবং অসংখ্য নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়ে দল ত্যাগ করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

২০২১ সালের ২৭ ডিসেম্বর ওই জনতা ভবনে বাউফল পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থী বাছাই সভায় জনতা ভবনের সামনে বগা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও পটুয়াখালী আওয়ামী যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদ হাসানের উপর হামলা করে আ স ম ফিরোজ সমর্থিতরা।

এসময় আসম ফিরোজ জনতা ভবনের ভিতর অবস্থানে করছিলেন। ওই ঘটনায় প্রাণে বেঁচে যান হাসান। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩ তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওই ভবনের অদূরে মিছিল থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদারের উপর হামলা করে আ স ম ফিরোজ সমর্থিত স্ব-দলীয় নেতাকর্মীরা।

এসময় ওই মিছিলে গাড়ীতে অবস্থান করছিলেন আ স ম ফিরোজ। পরবর্তী সময়ে নেতা-কর্মীদের মাঝে ওই ভবন নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। এদিকে, আগামী শনিবার (১৪ অক্টোবর) ওই ভবনে আবার শান্তি সমাবেশ ও বর্ধিতসভা ডেকেছেন আ স ম ফিরোজ সমর্থিত বাউফল আওয়ামী লীগের একাংশ।

এতে অসন্তোষ জানিয়েছেন দলের অপরাংশের নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। তাদের অভিযোগ জেলা থেকে বাউফল উপজেলার কমিটি অনুমোদিত নয়। অথচ তারা (আ স ম ফিরোজ সমর্থিত) দলীয় পদের বিভিন্ন পরিচয় ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল মোতালেব হাওলাদার অভিযোগ করে বলেন, শান্তি সমাবেশ ও বর্ধিতসভার বিষয়ে আমি কিছু জানি না। ওই ভবনে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বগা ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ হাসান ও আমাকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। জনতা ভবন আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় নয় এটি একটি বিতর্কিত জায়গা।

এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আ স ম ফিরোজ এমপিকে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি কেবলমাত্র এলাকায় এসেছি। এখন বিশ্রামে আছি। পরে কথা হবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর বলেন, ১৪ তারিখ বাউফল উপজেলা আওয়ামী লীগ শান্তি সমাবেশ ডেকেছে। আমরা সেখানে যাবো। তবে বর্ধিত সভায় নয়।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon