আজ বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:৪১ অপরাহ্ন
সরকারি অর্থে ব্রিজ নির্মাণ, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে ইউপি চেয়ারম্যানের
অর্থ আদায়
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
সরকারি অর্থে প্রকল্পের মাধ্যমে ব্রিজ নির্মাণ করা হলেও সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে জেলার গৌরনদী উপজেলার খাঞ্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯-২০ অর্থবছরে লোকাল গভর্ন্যান্স সাপোর্ট প্রজেক্টের (এলজিএসপি) মাধ্যমে ইউনিয়নের পশ্চিম ডুমুরিয়া গ্রামের তৈয়ব আলী মোল্লার বাড়ির পূর্ব পাশের খালের ওপর চার লাখ টাকা ব্যয়ে একটি আয়রন ব্রিজ নির্মাণ করা হয়। ওই ব্রিজটি নির্মানের জন্য সুবিধাভোগী একটি পরিবারের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান।
সুবিধাভোগী তৈয়ব আলী মোল্লা বলেন, ব্রিজটি নির্মানের জন্য ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাতকে ৩ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। অপরদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে এ প্রকল্পের মাধ্যমে খাঞ্জাপুর ইউনিয়নের আহম্মদকাঠী মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে এবং একই গ্রামের মজিবর বেপারীর বাড়ির একটি পরিবারের যাতায়াতের জন্য ১ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে আয়রণ ব্রিজ নির্মাণ করা হয়।
সুবিধাভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, আহম্মদকাঠী মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর ব্রিজ নির্মানের জন্য ২ লাখ ও মজিবর বেপারীর বাড়ির ব্রিজ নির্মাণের জন্য সুবিধাভোগী পরিবারটির কাছ থেকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম। এছাড়াও পূর্ব সমরসিংহ গ্রামের ফরু চৌকিদারের বাড়ির সামনে ব্রিজ নির্মানের জন্য (কাজ চলমান) ইউপি চেয়ারম্যানকে ২ লাখ টাকা দিতে হয়েছে। তবে নির্মাণাধীন ব্রিজটি কোন প্রকল্প দিয়ে নির্মান করা হচ্ছে তা বলতে পারছেন না সংশ্লিষ্ট ইউপির সচিব।
এ ব্যাপারে ইউপি সচিব মো. নাসির হোসেন বলেন, সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা নেয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। সকল অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যান নুর আলম সেরনিয়াবাত বলেন, একটি মহল আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এ ব্যাপারে গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিপিন চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, এলজিএসপি প্রকল্পের টাকায় ব্রিজ নির্মান করে সুবিধাভোগীদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।