আজ বুধবার, ২৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৬ পূর্বাহ্ন
সিআইডি পুলিশের সাথে আসামির স্বজনদের হাতাহাতি, আহত ২
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
হত্যা মামলার আসামিকে গ্রেফতার অভিযানের সময় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) দুই সদস্যর সাথে আসামির স্বজনদের ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এসময় সিআইডির দুই সদস্য আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে আসামি আব্বাস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
ঘটনাটি ঘটেছে জেলার মুলাদী উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায়। আহতরা হলেন, সিআইডির উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিন ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম। মঙ্গলবার দুপুরে তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা সিআইডির এসআই রুহুল আমিন জানান, তিনি মুলাদীর আলোচিত মনির হোসেন হাওলাদার হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। সেই হিসেবে সন্দেহভাজন আসামি আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতারের জন্য তিনিসহ সিআইডির একটি টিম সোমবার দিবাগত রাত আটটার দিকে মীরগঞ্জ ফেরিঘাটের পল্টুনে অবস্থান নেন। এ সময় আসামির স্বজনরা সিআইডি পুলিশের জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় দেখে তাদের ঘিরে ধরেন এবং ধস্তাধস্তি ও হাতাহাতি করেন। এতে তিনি ও কনস্টেবল আব্দুল হাকিম সামান্য আহত হয়েছেন। রুহুল আমিন আরো জানান, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের আব্দুর রব হাওলাদারের ছেলে আব্বাস হাওলাদারকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করেন সিআইডির একটি টিম। এসময় আব্বাসের হয়ে তার ৭/৮জন স্বজন ও সহযোগিরা এসে সিআইডির টিমকে ঘিরে ধরে। একপর্যায়ে আসামির স্বজনদের সাথে সিআইডির হাতাহাতি ও ধস্তাধস্তি হয়। এ সুযোগে আব্বাস ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। হাতাহাতির ঘটনায় সিআইডির দুই সদস্য আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ২৪ মে সকাল নয়টার দিকে মুলাদীর চর কমিশনার গ্রামের একটি ঘেরের পাশে মনির হাওলাদারের (২২) চোখ তুলে ফেলা ও গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় মনিরের ছোট ভাই পারভেজ হাওলাদার বাদী হয়ে ১১ জনের নামোল্লেক করে মুলাদী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। গত ৪ জুলাই মামলা তদন্তের জন্য সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। মামলার বাদী পারভেজ হাওলাদার বলেন, অনেক আসামিই বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। যারমধ্যে মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ফোরকানের অতিসম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদে হিসাব সহকারী-কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে চাকরি হয়েছে। বর্তমানে ফোরকান মেহেন্দিগঞ্জের গোবিন্দপুর ইউনিয়ন পরিষদে কর্মরত রয়েছে।