আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:১৩ অপরাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হচ্ছে ফেসবুকে মহানবী (স.)কে নিয়ে কটূক্তি, দুই ছাত্রলীগ কর্মী আটক গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার : তারেক রহমান আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে : সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি : প্রেস সচিব পিরোজপুরে গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খালে, শিশুসহ নিহত ৮ কোন সরকারি চাকরিজীবী চাকরি ছাড়ার পর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : জামায়াত দিশেহারা আ’লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে, বেশিরভাগ ভারতে ঠাঁই! দ্রব্যমূল্য শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশেষে বরখাস্ত উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষাবলম্বনকারীদের নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর

অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষাবলম্বনকারীদের নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর

 

অনির্বাচিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষাবলম্বনকারীদের নিন্দা প্রধানমন্ত্রীর

পল্লী জনপদ ডেস্ক॥

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য যারা একটি অনির্বাচিত সরকারের পক্ষে কথা বলছেন তাদের নিন্দা করে ২০০৭-২০০৮ সময়কালে এমন সরকারের কাছ থেকে কারা লাভবান হয়েছিল তা ভাবতে বলেছেন। তিনি বলেন, ‘২০০৭-২০০৮ সালে একটি অনির্বাচিত সরকার (বাংলাদেশে) ছিল এবং এতে কার কি লাভ হয়েছিল? বরং অশুদ্ধ হয়েছিল দেশের সংবিধান। ক্ষতি হয়েছিল দেশের মানুষের জীবনমানের।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার (০১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বাংলা একাডেমি ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’ উদ্বোধনকালে দেয়া প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। তিনি বলেন, “আমাদের দেশে (তথাকথিত) খুব জ্ঞানী বিজ্ঞানী আছেন। তাদের কাছে আবার এটাও শুনলাম দুই-চার বছরের জন্য যদি অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলেও তো আর মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে না।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কাজেই আপনারা বুঝতে পারেন কারা বলতে পারে? ২০০৭-২০০৮ সালেতো অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় ছিল, কার কি লাভ হয়েছিল? কারণ, কিছু এগাছের ছাল ওগাছের বাকল নিয়ে একটা দল করার চেষ্টা, এদল সে দল থেকে ভিড়িয়ে দল করার চেষ্টা, আমরা রাজনীতিবিদরা সব খারাপ আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে জেলে ভরা হল এবং কিছু কিছু সুযোগ সন্ধানী তখন মাথা তুলে দাঁড়ালো এবং কিংস পার্টি গঠনসহ বিভিন্ন রকম প্রচষ্টা চালালো।

প্রধানমন্ত্রী এর উত্তরে বলেন, “মহাভারত অশুদ্ধ হবে না এটা ঠিক। কিন্ত অশুদ্ধ হবে আমাদের সংবিধান। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই স্বাধীনতা এবং এর ৮ মাসের মাথায় জাতির পিতা আমাদের দিয়েছিলেন এই সংবিধান। আর অশুদ্ধ হবে বাংলাদেশের মানুষের জীবন মান। কারণ, ঐ দুই বছরের অভিজ্ঞতা যদি একটু স্মরণ করেন। তখন ব্যবসা-বাণিজ্য, সহিত্য চর্চা, অথনৈতিক অবস্থা সবই বিপর্যস্থ হয়ে গিয়েছিল। একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার সৃষ্টি হয় যখন তখন সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়।”

সেই নির্বাচনে বিএনপি ৩০ টি আসনে এবং বাকী আসনে আওয়ামী লীগ নেতৃতাধীন মহাজোট বিজয়ী হয়। এরপর থেকে জনগণের জন্য কাজ করে জনণের সমর্থন নিয়েই আওয়ামী লীগ এ পর্যন্ত ক্ষমতায় রয়েছে, বলেন তিনি। তাঁর সরকার সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী পাশ করেছিল বলেই দেশে এখন গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত রয়েছে বলেও প্রধানমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে এবং প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানা। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংস্কৃতি সচিব মো. আবুল মনসুরও বক্তব্য রাখেন।

বাংলা একাডেমির সভাপতি সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটন।

অনুষ্ঠানে বাংলা একাডেমি থেকে প্রকাশিত সাতটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। যার মধ্যে রয়েছে- প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পাদিত শেখ মুজিবুর রহমান রচনাবলি-১, কারাগারের রোজনামচা পাঠ বিশ্লেষণ, অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ বিশ্লেষণ ও আমার দেখা নয়াচীন পাঠ বিশ্লেষণ; রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রচিত ‘আমার জীবন নীতি, আমার রাজনীতি’ এবং জেলা সাহিত্য মেলা ২০২২ (১মখন্ড)।

এছাড়া, বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার-২০২২ প্রাপ্ত ১৫ জন কবি লেখক ও গবেষকের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন-ফারুক মাহমুদ ও তারিক সুজাত (যৌথভাবে কবিতায়), তাপস মজুমদার ও পারভেজ হোসেন (যৌথভাবে কথাসাহিত্যে), মাসুদুজ্জামান (প্রবন্ধ/গবেষণায়), আলম খোরশেদ (অনুবাদ), মিলন কান্তি দে এবং ফরিদ আহমদ দুলাল (যৌথভাবে নাটকে), ধ্রুব এষ (কিশোর সাহিত্য), মুহাম্মদ শামসুল হক (মুক্তিযুদ্ধের উপর গবেষণা), সুভাষ সিংহ রায় (বঙ্গবন্ধুর উপর গবেষণা), মোকারম হোসেন (বিজ্ঞান/বিজ্ঞান কথাসাহিত্য/পরিবেশ বিজ্ঞান), ইকতিয়ার চৌধুরী (জীবনী/স্মৃতিকার/ভ্রমণকাহিনী) এবং আব্দুল খালেক এবং মুহাম্মদ আব্দুল জলিল (যৌথভাবে লোককাহিনীতে)।

এরআগে জাতীয় সঙ্গীত এবং অমর একুশের সঙ্গীত ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ সমবেত কন্ঠে পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপরই সকলে অমর একুশের শহীদদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করেন।
উদ্বোধনী স্মারকে স্বাক্ষর করে বইমেলা উদ্বোধনের পর বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon