আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৫ অপরাহ্ন
আজ মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’ শুরু হচ্ছে
পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
আজ থেকে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে শুরু হচ্ছে মাসব্যাপী ‘অমর একুশে বইমেলা-২০২৩’।
সোমবার বাংলা একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় বইমেলার উদ্বোধন করবেন।
এবারের বইমেলার প্রতিপাদ্য ‘পারো বই, গারো দেশ: বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ’ এবং বাংলা একাডেমি মেলার আয়োজন করছে।
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ গতকাল মাসব্যাপী অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০২৩ উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন এবং এর সকল কর্মসূচির সফলতা কামনা করেছেন।
রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, অমর একুশে গ্রন্থমেলা বাঙালি সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ।
রাষ্ট্রপ্রধান বাঙালি বইপ্রেমিক, পাঠক, প্রকাশক ও সংগঠকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে শুভেচ্ছা জানান।
বইমেলার প্রাক্কালে তিনি মহান ভাষা আন্দোলনের অমর শহীদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
‘অমর একুশে বইমেলা’ সকল বাঙালির হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রতি বছর ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা সর্বস্তরের মানুষের মধ্যে এক অনন্য জাগরণ সৃষ্টি করে। লেখক, পাঠক এবং সাংস্কৃতিক কর্মী সহ জীবন।
তিনি আরও বলেন, এ মেলা দেশের শিক্ষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাস বিকাশের অন্যতম প্রধান ঘটনা ও উৎস।
তিনি আরো বলেন, জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনে বই পড়ার বিকল্প নেই।
মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে জাগিয়ে রেখে ‘অমর একুশে গ্রন্থমেলা’ বঙ্গ ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন রাষ্ট্রপতি।
বইমেলা কর্মদিবসে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং সরকারি ছুটির দিনে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে এবং দুপুরের খাবার ও নামাজের জন্য এক ঘণ্টা বিরতি থাকবে।
৬০১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯০১টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বাংলা একাডেমি মাঠে ১১২টি প্রতিষ্ঠানকে ১৬৫টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ৪৮৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৭৩৬টি স্টল বরাদ্দ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
তাছাড়া এ বছর মোট ৩৮টি প্যাভিলিয়ন বরাদ্দ করা হয়েছে।
গত বছর ৫৩৪টি প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে ৭৭৪টি স্টল বরাদ্দ ছিল। এছাড়া লিটল ম্যাগাজিন চত্বরে ১৫৩টি স্টল থাকবে, যা ২০২২ সালে ছিল ১২৭টি, ২০২১ সালে ১৪০টি এবং ২০২০ সালে ১৫৫টি।
যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বইমেলা ভেন্যু ও এর আশেপাশে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে এবং মেলার ১.১ মিলিয়ন বর্গফুট জায়গার প্রতিটি স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় থাকবে।