আজ শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ পূর্বাহ্ন
এমটিএফই নামের এমএলএম’র প্রতারণা গ্রাম পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছিল যেভাবে
পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
সাতক্ষীরার শ্যামনগরের বেরালাক্ষী গ্রামের আনোয়ার হোসেন (আসল নাম গোপন রাখা হচ্ছে) ফেব্রুয়ারি মাসের দিকে জানতে পারেন, বিদেশি একটি কোম্পানিতে ডলারে বিনিয়োগ করলে প্রতিমাসে ভালো মুনাফা পাওয়া যাবে। এই গ্রামের কুয়েত প্রবাসী এক ব্যক্তি প্রথম এই স্কিমের কথা গ্রামের কয়েকজনকে জানান। তার একজন আত্মীয়কে তার প্রতিনিধিও নিযুক্ত করা হয়। সেই প্রতিনিধির মাধ্যমে পরের কয়েক মাসে গ্রামের আড়াইশোর বেশি মানুষ ‘মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ’ বা এমটিএফই নামের একটি এমএলএম স্কিমের অংশ হন।
আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, “ওরা বলছিল, বিদেশি একটা কোম্পানিতে ডলারে বিনিয়োগ করা হবে। সেখানে যে মুনাফা হবে, সেটা প্রতিদিন আমাদের হিসাবে যোগ হবে। মোবাইলেই সেই টাকা জমা, লাভ বা লস হলে সব দেখা যাবে। কুয়েতের ওই লোকের আত্মীয়ের মাধ্যমে আমাদের গ্রামের আরও কয়েকজন এরকম ইনভেস্ট করে ভালো টাকা পেয়েছে। সেটা দেখে আমি একটা এনজিও থেকে কিছু টাকা ঋণ করে জমা দেই।”
ফেব্রুয়ারি মাসে এই স্কিমে ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে যোগ দেয়ার পর জুলাই মাস পর্যন্ত তিনি টাকা পেয়েছেন। সেই লাভের টাকা পুনরায় এই স্কিমেই বিনিয়োগ করেছেন। তার পরামর্শে তার অনেক আত্মীয়স্বজন এবং বন্ধুদেরও এখানে যোগ দিতে উৎসাহিত করেছেন। তাদের মধ্যে একজন জমি বিক্রির দুই লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছেন।
গ্রামের লোকজনকে বলা হয়েছে, এটা ইসলামী শরীয়ত সম্মত একটা ব্যবসা। এটা টাকা বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগ করা হবে। সেখান থেকেই সদস্যদের মুনাফা দেয়া হবে। নিয়মিত মোবাইলে অ্যাপের মাধ্যমে লাভের টাকার হিসাব রাখা হতো। অ্যাপ থেকেই টাকা তোলা যায়। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে টাকা জমা বা তোলার ব্যবস্থা থাকলেও বেশিরভাগ মানুষ কোম্পানির প্রতিনিধি বা যার মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলেছেন, তার কাছেই লেনদেন করতেন।
প্রথম প্রথম সবাই প্রতিদিন নিয়মিত মুনাফা পেয়েছেন। তাদের অধিকাংশই সেই টাকা আবার বিনিয়োগ করেছিলেন। কিন্তু অগাস্ট মাস থেকে তারা কেউ আর টাকা তুলতে পারছেন না। প্রথমে তাদের অ্যাকাউন্টে কিছু কিছু করে ডলার জমা দেখানো হলেও পরে সেগুলো মাইনাস দেখাতে শুরু করে।
আনোয়ার হোসেন বলছিলেন, “এই মাসের শুরুর দিকে দেখা যায়, কোন লাভও আসতেছে না, লোকসানও আসতেছে না। তখন কোম্পানির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে বলে সার্ভারে সমস্যা। কয়েকদিন পরে ডাবল করে লাভ আসতে শুরু করলো, কিন্তু কেউ টাকা তুলতে পারছিল না। আবার কোম্পানির লোকজনের সাথে যোগাযোগ করলে তারা বলে, আরেকটু ওয়েট করেন,তাড়াতাড়ি সমাধান হয়ে যাবে।”
“গত দুইদিন আগে সবার অ্যাকাউন্টে হঠাৎ করে লস দেখানো শুরু করে মেসেজ আসা শুরু করছে, আপনি বকেয়া টাকা পরিশোধ করেন। না হলে কোম্পানি আইনে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এখন কুয়েতের সেই লোকেরও ফোন অফ আছে।” “আমাদের এলাকায় অনেকে জমি বিক্রি করে, লোন নিয়ে টাকা জমা দিয়েছিল। এখন তো সবার সর্বহারা অবস্থা,’’ বলছে তিনি। এখন আনোয়ার হোসেনের মাধ্যমে যারা এই স্কিমে অংশ নিয়েছিলেন, তারা এসে তাকে ধরেছেন। পাওনাদারদের ভয়ে তিনি বাড়িতেও থাকতে পারছেন না।
এমটিএফই কোম্পানি সম্পর্কে কী জানা যাচ্ছে?
দুবাই-ভিত্তিক এই কোম্পানির পুরো নাম মেটাভার্স ফরেন এক্সচেঞ্জ বা সংক্ষেপে এমটিএফই। ২০২২ সাল থেকে এই কোম্পানি ব্যবসা শুরু করে, যদিও তাদের ওয়েবসাইটে ২০১৫ সাল থেকে ব্যবসা শুরুর দাবি করা হয়েছে।
দুবাই-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হলেও ওয়েবসাইটে প্রতিষ্ঠানটির ঠিকানা হিসাবে ক্যানাডার অন্টারিও’র একটি ঠিকানা দেয়া হয়েছে। কিন্তু ওই ঠিকানায় এই প্রতিষ্ঠানের নামে কোন অফিস পাওয়া যায়নি। বরং এটা দ্যা ভিঞ্চি ভার্চুয়ালের একটি ভার্চুয়াল অফিস স্পেস হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
এই বছরের জুলাই মাসে একটি ওয়েবসাইট চালু করা হলেও এটি মূলত প্লে স্টোর ও অ্যাপস্টোর থেকে অ্যাপ নামিয়ে এদের সদস্য হতে হয়। এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা দুবাই প্রবাসী বাংলাদেশি মাসুদ আল ইসলাম। শুরুতে অন্তত ২৬ ডলার বা সমপরিমাণের টাকা বিনিয়োগ করতে হয়। মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করে এই টাকা জমা দেয়া যায়।
অ্যাপল স্টোরের অ্যাপে এই কোম্পানির পরিচিত সম্পর্কে বলা হয়েছে, এটি একটি কম্যুনিটি ভিত্তিক ট্রেডিং প্লাটফর্ম। যারা বিনিয়োগ করতে চান, বিশ্বের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে তাদের বিনিয়োগের মাধ্যম হিসাবে কাজ করে এমটিএফই।
যার মধ্যে আছে বিদেশি মুদ্রা, স্বর্ণ, জ্বালানি তেল, শেয়ার মার্কেটসহ শতাধিক পণ্য। বিনিয়োগকারীরা এই অ্যাপের মাধ্যমে বিশ্বের বিভিন্ন ব্যবসায় স্বল্প পুঁজি আকারে বিনিয়োগ করতে পারবেন এবং মুনাফা পাবেন। সেখানে দাবি করা হয়েছিল, যে টাকা বিনিয়োগ করা হবে, প্রতিদিন ৩ থেকে ৮ শতাংশ মুনাফা দেয়া হবে। যেমন তাদের প্রথম প্লানে বলা হয়েছে, কেউ যদি ৩০ ডলার বিনিয়োগ করে, তাহলে মাসে ২২ থেকে ৪৪ ডলার পর্যন্ত পেতে পারে।
শরীয়ার নামে মাল্টি লেভেল মার্কেটিং
যদিও কোম্পানির কোথাও মাল্টি লেভেল মার্কেটিং বা বহু স্তর-ভিত্তিক বিপণন ব্যবস্থার কথা বলা হয়নি, কিন্তু প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগকারীদের সংগ্রহ পদ্ধতি মাল্টি লেভেল ভিত্তিক।
আনোয়ার হোসেন যেমন বিবিসিকে বলছেন, কারো রেফারেন্সে নতুন বিনিয়োগকারী আসলে প্রত্যেক নতুন সদস্যের জন্য তিনি দুই ডলার করে পাবেন। যেমন, আমার ১২ জন আমার রেফারেন্সে এসেছিল, তাদের জন্য আমি প্রতিদিন ২৪ ডলার করে পেয়েছি। তেমনি তাদের রেফারেন্সে আরও লোকজন আসলে তারাও এভাবে ডলার পাবে। বিনিয়োগ করে যে টাকা পাওয়া যায়, এভাবে লোকজন আনতে পারলে আরও বেশি টাকা আসে।
প্রথম লেভেলে দুইজনকে আনতে হবে। সেই দুজন আবার দুজন করে সদস্য আনবে। এদের প্রত্যেকে যে টাকা বিনিয়োগ করবেন, তার একটা কমিশন পাবেন সদস্য আনা ব্যক্তিরা। নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষকে এভাবে সদস্য বানাতে পারলে তাদের সিইও হিসাবে পদোন্নতি দেয়া হতো। ঠিক একই পদ্ধতিতে বাংলাদেশে আগের জিজিএন, ডেসটিনি, নিউওয়ের মতো কোম্পানিগুলো এভাবে ব্যবসা করেছে, যার শেষভাগে অসংখ্য মানুষ তাদের অর্থ খুইয়েছেন। দেখা গেছে, এরকম ব্যবসায় শেষের দিকে যখন অনেক বিনিয়োগকারী সম্পৃক্ত হন, তারা আসলে প্রতারণার শিকার হন।
স্বল্প জমাকৃত অর্থের বিপরীতে বিপুল মুনাফা দেয়ার লোভ দেখিয়ে মাত্র এক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত, নাইজেরিয়া, কেনিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বিপুল সদস্য সংগ্রহ করতে সক্ষম হয়েছে এমটিএফই। অ্যান্ড্রুয়েড প্লে স্টোরে এই অ্যাপটি ১০ লাখের বেশি মানুষ ডাউনলোড করেছেন।
এটাকে ইসলামী আদলে মুনাফা দেখানোর জন্য সপ্তাহে মোবাইলের অ্যাপে চারদিন মুনাফা যোগ হতো, একদিন লোকসান দেখানো হতো। আর দুইদিন থাকতো ছুটি। অর্থাৎ একজন ২৫ হাজার টাকা বিনিয়োগ করলে সপ্তাহে চারদিনে পাঁচ ডলার করে ২০ ডলার পেতেন। আরেকদিন লোকসান দেখানোয় আবার পাঁচ ডলার কাটা যেতো। সব মিলিয়ে মাসে প্রায় ছয় থেকে সাত হাজার টাকা আসতো। যারা বিনিয়োগ করেছেন, তাদের বেশিরভাগই এই মুনাফার টাকা পুনরায় আবার বিনিয়োগ করেছিলেন।
বিনিয়োগের তথ্য কতটা সঠিক?
আনোয়ার হোসেন জানাচ্ছিলেন, তাদের গ্রামে একজন নারী আট লাখ টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। তার একজন সহকর্মী বিনিয়োগ করেছিলেন চার লাখ টাকা। এখন তাদের অ্যাকাউন্টে এক টাকাও নেই।
এমটিএফই ওয়েবসাইট বা অ্যাপে বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের দাবি করা হলেও এই কোম্পানি বিশ্বের কোথায়, কোন ব্যবসায় বা কোন কোম্পানিতে বিনিয়োগ করেছে, তার কোন তথ্য কোথাও উল্লেখ নেই। কোন প্রতিষ্ঠানের মালিকানা বা বিশ্বের কোন দেশের সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জে তাদের বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া যায়নি। দুবাই, ভারত বা বাংলাদেশের কোন স্টক এক্সচেঞ্জেও তাদের বিনিয়োগের কোন তথ্য নেই।
ক্যানাডায় এই কোম্পানির বিনিয়োগ রয়েছে বলে দাবি করা হলেও গত জুলাই মাসে অন্টারিও’র সিকিউরিটিজ কমিশন একটি বিবৃতিতে বিনিয়োগকারীদের সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, সেখানে এই কোম্পানির নামে ব্যবসা করার কোন অনুমোদন নেই।
ক্যানাডার ফিনট্রাসে এটি অনুমোদিত বলে বলা হলেও ফিনট্রাস আসলে কোন রেগুলেটরি প্রতিষ্ঠান নয়। তাদের কাজ মূলত কানাডায় অর্থ পাচার রোধে কাজ করা। এনিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, তার জানা মতে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার বা ব্যবসা করার কোন রকম অনুমোদন এই কোম্পানির নেই।
ইন্টারনেটে তথ্য ঘেঁটে দেখা গেছে, বর্তমানে ডিঅ্যাক্টিভেট করে রাখা হলেও এমটিএফইর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দাবিদার মোঃ মাসুদ আল ইসলামের ফেসবুক প্রোফাইলের তথ্য অনুযায়ী, তিনি এর আগে পিএলসি আলটিমার সদস্য সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল। এটি ছিল অ্যালেক্স রেইনহার্ডের প্লাটিনকয়েন নামের আরেকটি এমএলএম ধরনের প্রতিষ্ঠানের উত্তরসূরি প্রতিষ্ঠান।
এই পিএলসি আলটিমার বাংলাদেশে বেশ কিছু গ্রাহক রয়েছে। বগুড়ার এরকম একজন গ্রাহক বিবিসি বাংলাকে বলেছেন, সেখানে তার চার লাখ টাকা বিনিয়োগ ছিল, এখন আর কোন টাকাই ফেরত পাচ্ছেন না। লোকলজ্জার ভয়ে এই ব্যক্তিও তার নাম প্রকাশ করতে চাননি। গত বছরের অক্টোবরে পিএলসি আলটিমা বন্ধ হয়ে যায়।
অনেকটা সেই সময়েই এমটিএলই কোম্পানি চালু করেন মাসুদ আল ইসলাম। নিজেকে এমটিএলই কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ফেসবুকে ছবি পোস্ট করেন। চলতি বছরের এপ্রিল মাসে একটি পোস্টে এমটিএফই দাবি করেছে, তারা এখন পর্যন্ত ২০০ বিলিয়ন ডলারের লেনদেন করেছে। দাবি করা হলেও এর সপক্ষে কোন প্রমাণ তাদের ওয়েবসাইটে পাওয়া যায়নি।
ডলারে বিনিয়োগের হিসাব-নিবেশ করা হলেও মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে হুন্ডির মাধ্যমে টাকার লেনদেন করা হতো। বাংলাদেশে যেমন সদস্যরা ডলারের সমপরিমাণে টাকা দিয়েছেন। আবার মুনাফা তুলতে হলে ডলারের সমপরিমাণ হিসাব করে টাকা তোলা হতো। বিভিন্ন মোবাইল ব্যাংকিং ব্যবহার করেও এই টাকার লেনদেন করা হতো।
গোপনে কীভাবে কর্মকাণ্ড চালিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি?
বাংলাদেশের বহু মানুষ এই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলেও গণমাধ্যমে এই প্রতিষ্ঠানের নাম এসেছে মাত্র কয়েকদিন আগে থেকে। মূলত প্রবাসীদের মাধ্যমে এবং গ্রামীণ এলাকায় ব্যবসাটি ছড়িয়ে পড়ায় শহর এলাকা বা গণমাধ্যমে এ নিয়ে খুব একটা আলোচনা হয়নি। তবে গত সপ্তাহ থেকে দেশের অনেকগুলো জেলা থেকে লোকজনের ক্ষতিগ্রস্তের খবর প্রকাশ পাওয়ার পর থেকে এই প্রতিষ্ঠানের নাম আলোচনায় উঠে এসেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বিবিসি বাংলাকে বলছেন, ‘আমরা ২০১৫ সাল থেকে বহুবার, প্রায় প্রতি বছর মানুষজনকে সতর্ক করে আসছি যেন তারা এ ধরনের অতি মুনাফা কোন ব্যবসায় বিনিয়োগ না করেন। বিশেষ করে বিদেশি মুদ্রায় বিনিয়োগ নিয়ে তো আইনই আছে। তারপরেও মানুষ যদি গোপনে এভাবে ব্যবসায় বিনিয়োগ করছে।’
“এখন তারা ক্ষতির শিকার হয়েছে বলে কথা বলছে, কিন্তু এতদিন তো তারা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বা কারো কাছে কোন কথাও বলেনি। মানুষ যদি গোপনে গোপনে এরকম কর্মকাণ্ড করে, আমাদের পক্ষে তো তাদের শনাক্ত করা কঠিন।”
কর্মকর্তারা বলছেন, ডলারে বিনিয়োগের কথা বলা হলেও তারা তো আসলে সমপরিমাণের টাকায় লেনদেন করেছে। ফলে মোবাইল ব্যাংকিং বা ব্যাংকিং সেবা ব্যবহার করে করা হলে তো ধরার উপায় নেই। তবে হুন্ডির মাধ্যমে বা দেশ থেকে বিদেশে অর্থ পাচারে জড়িতদের শনাক্ত করা গেলে আইনি ব্যবস্থায় আনার সুযোগ রয়েছে। “এখন বিষয়টি নজরে আসার পরে আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা তদন্ত করতে শুরু করেছে,’’ বলছেন মি. হক। সূত্র : বিবিসি বাংলা