আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১০:০৮ পূর্বাহ্ন
দক্ষিণাঞ্চলে আড়াই লাখ টন গোলআলু উৎপাদনের টার্গেট
খোকন আহম্মেদ হীরা, বিশেষ প্রতিবেদক ॥
স্বাভাবিকের চেয়ে কম বৃষ্টিপাতের পরে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’এ ভর করে অতিবর্ষণের ক্ষতি কাটিয়ে উঠে মাঠে মাঠে এখন গোল আলু তুলছেন দক্ষিণাঞ্চলের কৃষি যোদ্ধারা। বরিশাল কৃষি অঞ্চলে আবাদ লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করায় এবার প্রায় আড়াই লাখ টন গোল আলু উৎপাদনের আশা করছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বিএডিসি থেকে উন্নতমানের বীজ সরবরাহ না করার সাথে উৎপাদন ব্যয় না ওঠায় দক্ষিণাঞ্চলের কৃষকদের আলু আবাদে এখনো আগ্রহী করা সম্ভব হয়নি। অপেক্ষাকৃত নিঁচু এলাকা বিধায় দক্ষিণাঞ্চলে কিছুটা বিলম্বেই রবি মৌসুম শুরু হওয়ার কারণে আবাদ ও উৎপাদন বিলম্বিত হয়ে থাকে। চলতি মাস জুড়েই দক্ষিণাঞ্চলে গোল আলু উত্তোলন করা হবে বলেও সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশ কৃষি গবেষনা ইনস্টিটিউট-বারি উদ্ভাবিত উন্নত ও উচ্চ ফলনশীল আলু বীজ ও এর আবাদ প্রযুক্তি মাঠপর্যায়ে কৃষকদের কাছে পৌঁছানোর পাশাপাশি ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করলে দক্ষিণাঞ্চলে গোল আলুর আবাদ ও উৎপাদন অন্তত দেড়গুন বৃদ্ধি পাবে।
সূত্রমতে, বারি ইতোমধ্যে বারি আলু-১ (হিরা), বারি আলু-৪ (আইলসা), বারি আলু-৭ (ডায়মন্ড), বারি আলু-৮ (কার্ডিনাল), বারি আলু-১১ (চমক), বারি আলু-১২ (ধীরা), বারি আলু-১৩ (গ্রানোলা), বারি আলু-১৫ (বিনেলা), বারি টিপিএস-১ ও বারি টিপিএস-২’ নামের একাধিক উন্নত জাতের উচ্চ ফলনশীল আলুবীজ উদ্ভাবন করেছে।
কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত এসব উন্নতমানের বীজ থেকে প্রতি হেক্টরে ১০ থেকে ১২ টন পর্যন্ত গোল আলু উৎপাদন সম্ভব। কৃষি বিজ্ঞানীদের মতে, গোল আলুর ভাল ফলন পেতে উন্নতমানের বীজ বপনের কোন বিকল্প নেই। পাশাপাশি ভালভাবে জমি তৈরীর বিষয়টির ওপরও গুরুত্বারোপ করছেন মাঠপর্যায়ের কৃষিবীদরা। সেক্ষেত্রে সুষম সার প্রয়োগের বিষয়ে সম গুরুত্ব প্রদানের কথা বলেছেন কৃষিবীদরা।
সূত্রমতে, চলতি রবি মৌসুমে বরিশাল কৃষি অঞ্চলের ১১ জেলার মধ্যে পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠী ও বরিশাল জেলায় ৭ হাজার ৯৭৮ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৮ হাজার ১৭৮ হেক্টর জমিতে গোলআলুর আবাদ হয়েছে। সবমিলিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে এবার ১০ হাজার ৬৪২ হেক্টর জমির লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ১১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে গোলআলুর আবাদ হয়েছে। যার উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে প্রায় আড়াই লাখ টন গোল আলু।