আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:৫৬ অপরাহ্ন

Logo
‘দাবি একটাই সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন’

‘দাবি একটাই সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন’

 

‘দাবি একটাই সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন’

পল্লী জনপদ ডেস্ক॥

সরকারি দল ছাড়া সকল বিরোধী দল অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকতে কোনো নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব নয়। আওয়ামী লীগ জনগণকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করতে সক্ষমতার যে কথা বলছে তা অবাস্তব বলে মন্তব্য করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর আমীর চরমোনাই পীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।

বৃহস্পতিবার (০৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশ এর ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। পীর সাহেব চরমোনাই আরো বলেন, প্রশাসনে যারা দায়িত্ব পালন করছেন তারা আমাদের ভাই। আপনারা দায়িত্ব পালনে নিরপেক্ষতা হারিয়ে ফেলেছেন। হাতে হাতুড়ি নিয়ে যে আচরণ করেছেন তাতে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকারের বিরুদ্ধে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করতে হবে। ন্যায্য দাবী নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়ে যারা মামলার শিকার হয়ে কারাবন্দি হয়েছেন তাদের অবিলম্বে মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে তিনি সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশের পরে দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত হাফেজ রেজাউল করীমের হত্যাকারীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয় সম্মেলনে। পীর সাহেব বলেন, বাংলাদেশের যে কোনো সেক্টরে অনিয়ম দুর্নীতি অশান্তি বিরাজ করছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে আবার জনগণকে ধোকা দিয়ে বোকা বানানো সম্ভব হবে না। দেশের জনগণ জুলুম নির্যাতন ও ভোটাধিকারের দাবিতে প্রতিবাদের আওয়াজ তুলছে। সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের স্বার্থে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের ন্যায্য দাবি মেনে নিতে হবে।

পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, সাম্য, ন্যায় বিচারের দাবিতে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্ত দীর্ঘ ৫২ বছরেও এসবের একটি দাবিও পূরণ হয়নি। সাম্য ন্যায় বিচারের পরিবর্তে দেশে জুলুম নির্যাতন অত্যাচার অরাজাকতা চলছে। তিনি বলেন, একই অভিযোগে মামলা হয়, যারা বিরোধী দল তাদের শাস্তি হয় আর ক্ষমতাসীনরা ছাড়া পায়। এটা ন্যায় বিচার বলা যায় না। অরাজাকতা নৈরাজ্যে নির্যাতনে দেশের আবহাওয়া দূষিত হয়ে উঠেছে। আজ অনেক মা সন্তান হারা হচ্ছে। তাদের জন্য কেন মায়া কান্না হয় না। পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, দেশে যৌন শিক্ষা অসভ্য পশুত্ব শিক্ষা সিলেবাস চালুর ষড়যন্ত্র বরদাশত করা হবে না। পীর সাহেব বলেন, আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ শেষে মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউলকে শহীদ করেছে দলীয় সন্ত্রাসীরা। শহীন রেজাউল নায়েবে রাসূল। আমরা এ ধরণের মাদরাসার ছাত্রকে হত্যাকা-ের জন্য ধিক্কার জানাই। মাদরাসার ছাত্র হাফেজ রেজাউলের হত্যার বিচার বাংলার মাটিতেই হবে। পীর সাহেব সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, দেশ, ইসলাম মানবতার পক্ষে অবস্থান নিন। তিনি আগামী ৫ আগস্ট বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের উত্তর গেইটে বিক্ষোভ সমাবেশের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন আজ শুক্রবার সারাদেশের জেলা পর্যায়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে। এদিকে, আগামীকাল শুক্রবার বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবতেদায়ি মাদরাসাসহ সর্বস্তরে ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবিতে জাতয়ি শিক্ষক ফোরামের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে। সমাবেশে প্রিন্সিপারল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী বলেন, এই জালেম স্বৈরশাসককে জনগণ আর ক্ষমতায় দেখতে চায় না। আওয়ামী লীগকে আর ক্ষমতায় আসতে দেয়া যাবে না। সবাইকে মুজাহিদের ভূমিকায় অবর্তীণ হতে হবে। এই সরকারকে গদি থেকে নামতেই হবে। দাবি একটাই সরকারের পদত্যাগ এবং জাতীয় সরকারের অধীনেই নির্বাচন দিতে হবে।

সংগঠনের কেন্দ্রীয় সভাপতি শরিফুল ইসলাম রিয়াদের সভাপতিত্বে এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রিন্সিপাল মাওলানা মোসাদ্দেক বিল্লাহ আল মাদানী, অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, দলের মহাসচিব প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মো. আমিনুল ইসলাম, কে এম আতিকুল ইসলাম, মাওলানা আহমদ আব্দুল কাইয়ুম, হাফেজ মাওলানা নূরুল করিম আকরাম, অধ্যাপক সৈয়দ বেলায়েত হোসেন, মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, অধ্যাপক নাসির উদ্দিন খান, প্রকৌশলী আতিকুর রহমান মুজাহিদ, হাফেজ মাওলানা মুস্তাকিম বিল্লাহ, নূরুল বশর আজিজি, কে এম শরীয়ত উল্লাহ, আল আমিন সিদ্দিকী, শিব্বির আহমদ, শেখ নাহিয়ান, আল আমিন ও মো. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon