আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১২:৪৪ অপরাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
দেশ জুড়ে আলোচনা ২৮ অক্টোবর : বিএনপি-আওয়ামীলীগে উত্তেজনা, আতঙ্ক

দেশ জুড়ে আলোচনা ২৮ অক্টোবর : বিএনপি-আওয়ামীলীগে উত্তেজনা, আতঙ্ক

দেশ জুড়ে আলোচনা ২৮ অক্টোবর : বিএনপি-আওয়ামীলীগে উত্তেজনা, আতঙ্ক

পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
আগামী ২৮ অক্টোবর ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশ এবং আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ঘিরে দেশজুড়ে আলোচনা। কী হতে যাচ্ছে সেদিন। দু’দলই রয়েছে অনড় অবস্থানে। ওইদিন সবচেয়ে বড় মহাসমাবেশ করতে চায় বিএনপি। বিএনপি তাদের মহাসমাবেশ নয়াপল্টনেই করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। যদি নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে কোনো ধরনের বাধা আসে, তাহলে সারা ঢাকায় ছড়িয়ে পড়তে নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়ে দিয়েছে দলের শীর্ষ নেতারা। মহাসমাবেশ পরবর্তী লাগাতার কর্মসূচি দেয়ারও কথা রয়েছে, যা ৩০ অক্টোবর ‘সচিবালয় ঘেরাও’ কর্মসূচির মধ্যদিয়ে শুরু করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বিএনপি সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

অপরদিকে, আগামী ২৮ অক্টোবর শান্তি সমাবেশ করবে আওয়ামী লীগ। তারা বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশের অনুমতি চেয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাছে। তবে পুলিশ আওয়ামী লীগের কাছে বিকল্প আরও দুটি স্থানের নাম চেয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পদক মো. রিয়াজ উদ্দিনের বাসায় পুলিশ একটি চিঠি দিয়ে এসেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই।

ইংরেজি দৈনিক নিউ এইজের প্রধান শিরোনাম, ‘Tension rises ahead of BNP, AL Oct 28 rallies in Dhaka’ অর্থাৎ ‘ঢাকায় ২৮শে অক্টোবর বিএনপি, আওয়ামী লীগের সমাবেশকে সামনে রেখে উত্তেজনা বাড়ছে’।

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে মোকাবেলায় ২৮শে অক্টোবর ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতারাও সমাবেশ করার ওপর জোর দিচ্ছেন। এতে সাধারণ মানুষের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। অন্যদিকে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীও সেদিন সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে।

সরকার এখনও তাদের কাউকে সমাবেশের অনুমতি দেয়নি। অথচ এরিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কয়েক হাজার বিএনপি নেতাকর্মী মহাসমাবেশে যোগ দিতে ঢাকায় প্রবেশ করেছে।

ঢাকার মহাসমাবেশ সফল করতে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা মাঠ পর্যায়ের সংগঠকদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেন, ঢাকার প্রবেশপথে র‌্যাব তল্লাশি চৌকি বসিয়ে তল্লাশির নামে দলীয় লোকজনকে নানাভাবে হয়রানি করছে। এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, ‘বিএনপি ও আওয়ামী লীগ একই দিনে সমাবেশ করলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হবে বলে আমি মনে করি না।’

মহাসমাবেশকে ঘিরে বিএনপি’র প্রস্তুতি নিয়ে প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম, ‘নয়াপল্টন ঘিরেই প্রস্তুতি বিএনপি’র’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মহাসমাবেশের স্থান নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অনিশ্চয়তা প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করা হবে এমন দিক মাথায় রেখেই নয়াপল্টন ঘিরেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে বিএনপি।

তবে মহাসমাবেশ ঘিরে নিজে থেকে সংঘাতে না জড়ানোর নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বরং সরকারের দিক থেকে আক্রমণ করা হলে তাতে উল্টো সুবিধা হবে বলে মনে করছে দলটি। কেননা এতে সরকারের অগণতান্ত্রিক মনোভাব প্রকাশ্য হবে। বিএনপির একাধিক নীতি নির্ধারণী সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে যে। দলের নেতারা বলছেন যে বিএনপি গত এক বছর ধরে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি করে আসছে।

চূড়ান্ত আন্দোলনের শেষটাও হবে অহিংস শান্তিপূর্ণ। এমন অবস্থানের পেছনে আরও একটি কারণ হলো বিএনপি বুঝেছে যে সরকারের হয়ে এক কাট্টা পুলিশ প্রশাসনের মুখোমুখি হয়ে তারা টিকতে পারবেনা। এক্ষেত্রে দলটির কৌশল হচ্ছে নিজে থেকে সংঘর্ষে না জড়ানো।

বড় দুই দলের মধ্যে সংলাপকে ঘিরে সমকালের প্রধান শিরোনাম, ‘সবাই সংলাপ চান, তবে…। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক সংকট নিরসনে বড় দলগুলো সংলাপের পক্ষে কথা বললেও, আলোচনায় বসতে নিজ নিজ শর্তে অনড় রয়েছে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি।এ অবস্থায় রাজনৈতিক সমাধান না এলে অস্বাভাবিক পরিস্থিতির উদ্ভব হতে পারে বলে নাগরিক সমাজের আশঙ্কা করছে। ‘চলমান রাজনৈতিক সংকট ও উত্তরণ’ শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেছেন তারা এতে আওয়ামী লীগের প্রতিনিধিত্ব করা দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকারের অধীনে নির্বাচন যদি বিএনপি মেনে নেয়, তাহলে সবার কাছে কীভাবে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে নিশ্চয়ই আলোচনা হবে।

অন্যদিকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, গ্রহণযোগ্য, অংশীদারিত্বমূলক নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি হলে নিরপেক্ষ সরকারের আলোচনায় যেতে বিএনপি রাজি। তবে আওয়ামী লীগের অধীনে তা সম্ভব নয়। বিকল্প ব্যবস্থা খুঁজতে সংলাপ ও ঐকমত্য জরুরি বলে মনে করে জাপা। আওয়ামী লীগের চেয়েও অনমনীয় অবস্থানে রয়েছে ১৪ দলের শরিক জাসদ। এ অবস্থায় রাজনৈতিক সমঝোতা না হলে আবারও জরুরি অবস্থা আসতে পারে বলে সতর্ক করেছেন শিক্ষাবিদ অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক।

মহাসমাবেশকে ঘিরে আওয়ামী লীগের প্রস্তুতি নিয়ে নয়া দিগন্তের প্রথম পাতার খবর, ‘আটঘাট বেঁধে মাঠে নামছে আ’লীগ, অলিতে-গলিতে পাহারা বসানোর নির্দেশনা’ প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ২৮ অক্টোবরকে কেন্দ্র করে আটঘাট বেঁধে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ওই দিন বিএনপিকে কোনোভাবেই মাঠে দাঁড়াতে দিতে রাজি নয় দলটি। এ জন্য ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের ঢাকার প্রবেশমুখসহ অলিতে-গলিতে পাহারা বসানোর জন্য দেয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা।

ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের রাজপথে সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুত থাকতে কেন্দ্র থেকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।পাশাপাশি বিএনপির চেয়ে বড় জনসমাগম করার জন্য ঢাকার আশপাশের জেলা ও মহানগরের নেতাকর্মীদের সমাবেশের দিন বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে উপস্থিত নিশ্চিত করার জন্য দলটির হাইকমান্ড থেকে দফায় দফায় বৈঠকসহ নানামুখী তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

বুধবার এক মতবিনিময় সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, এবার আক্রমণ হলে পাল্টা আক্রমণ। অলিগলি থেকেও পালাবার পথ পাবে না বিএনপি। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ২৮ তারিখ সকাল থেকে পাহারা বসাতে হবে। এরপর বেলা দুটায় নেতাকর্মী নিয়ে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের ‘শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশে’ হাজির হতে হবে।

বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেফতার প্রসঙ্গে ইত্তেফাকের প্রথম পাতার খবর, ‘দেশ জুড়ে গ্রেফতার’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত এক সপ্তাহে সারা দেশে তিন হাজার ৬২০ জন নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন বলে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন।তাদের মতে, মঙ্গলবার রাত থেকে বুধবার সকাল পর্যন্ত সারা দেশে প্রায় চারশো নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি দাবি করেছে, সারা দেশের প্রতি থানায় গড়ে দুই জন করে নেতা গ্রেফতার হয়েছেন।

ঢাকার ৫০টি থানাসহ চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী, বরিশাল, রংপুর, সিলেট, বগুড়াসহ বড় বড় জেলা শহর থেকে সম্ভাব্য ঢাকামুখী অনেক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া গত এক সপ্তাহে বিএনপির বিরুদ্ধে আরও চারশোটি মামলা দায়ের হয়েছে বলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি দাবি করেছে। জনপ্রশাসন নিয়ে কালের কণ্ঠের প্রধান শিরোনাম, ‘এক বছরের জন্য পদোন্নতি পাচ্ছেন ৩৬৫ পুলিশ কর্মকর্তা’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচনের আগমুহূর্তে এক বছরের জন্য পুলিশের ৩৬৫ কর্মকর্তাকে বিশেষ পদোন্নতি দেওয়া হচ্ছে। বুধবার অর্থ বিভাগ এর অনুমোদন দিয়েছে।

তাদের জন্য পুলিশের সাংগঠনিক কাঠামোতে অতিরিক্ত পদ তৈরির প্রক্রিয়া চলছিল গত জুলাই থেকে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে জানা গেছে, অস্থায়ীভাবে সৃষ্ট এসব পদে পদোন্নতি পাওয়া কর্মকর্তারা আগের পদেই দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁদের শুধু বেতনসহ আনুষঙ্গিক সুযোগ-সুবিধা বাড়বে। এতে প্রতি মাসে আনুমানিক এক কোটি টাকা খরচ বাড়বে সরকারের।

পুলিশ কর্মকর্তাদের সুপারনিউমারারি এসব পদের মেয়াদ হবে মাত্র এক বছর। পদগুলোতে কর্মরতরা পদোন্নতি, অবসর, অপসারণ বা অন্য কোনো কারণে পদ শূন্য হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিলুপ্ত হবে—এমন শর্ত দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ তা অনুমোদন দিয়েছে।জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচন কমিশন বা ইসির প্রস্তুতি নিয়ে দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান শিরোনাম, ‘National Polls: EC in full gear with key issues unresolved’ অর্থাৎ ‘জাতীয় নির্বাচন: অমীমাংসিত গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা নিয়েই সর্বাত্মক প্রস্তুতি ইসির’

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, নির্বাচন কমিশন জানুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে, যদিও কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সমস্যা এখনও অমীমাংসিত রয়ে গেছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৯০ দিনের কাউন্টডাউন এক সপ্তাহের মধ্যেই শুরু হতে যাচ্ছে। অথচ নির্বাচনকালীন সরকার কেমন হবে তা নিয়ে রাজনৈতিক অচলাবস্থা এখনও কাটেনি।

নির্বাচনের কর্মপরিকল্পনায় ইসি ‘রাজনৈতিক দলগুলোর আস্থা অর্জনকে একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করে। সেখানে ইসিকে ঘিরে এখনও অনেক প্রশ্ন রয়েছে। ভোটকেন্দ্রে ব্যালট পেপার পাঠানোর সময় নিয়ে যেমন অনিশ্চয়তা আছে তেমনি ইসির কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের সিদ্ধান্তও ঝুলে আছে। ইসি নির্বাচনের দিন সকালে ব্যালট পেপার পাঠানোর পক্ষে। কিন্তু পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই ধারণার বিরোধিতা করছেন কারণ এতে প্রচুর লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ রয়েছে। পাঁচ নির্বাচন কমিশনারের অধিকাংশই মনে করেন যে নির্বাচনকালীন প্রশাসন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মতপার্থক্য থাকায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠানের পরিবেশ এখনও নেই।

ব্রাসেলসের সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বক্তব্যকে ঘিরে যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম, ‘শান্তি ও অগ্রগতি নিশ্চিতে যুদ্ধ বন্ধ করুন’। চলমান রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং গাজায় ইসরাইলি হামলার প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার ব্রাসেলসে ‘গ্লোবাল গেটওয়ে ফোরাম’ সম্মেলনে দেয়া ভাষণে বিশ্ব নেতাদের প্রতি যুদ্ধ বন্ধের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “মানুষে মানুষে যোগাযোগ শান্তি ও অগ্রগতির লাইফলাইন। আমাদের অবশ্যই যুদ্ধ, সংঘাত এবং অস্ত্র প্রতিযোগিতার অবসান ঘটাতে হবে।”

প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী ২০২৬ সালে এলডিসি থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পরও জিএসপি সুবিধা অব্যাহত রাখতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে সহায়তার জন্য বেলজিয়ামে বাংলাদেশ, ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (ইআইবি) ও ইউরোপীয় কমিশনের (ইসি) মধ্যে তিনটি ঋণ ও অনুদান চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসময় প্রধানমন্ত্রী ইইউভুক্ত দেশগুলোকে বাংলাদেশে বিশেষ করে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং দেশজুড়ে হাইটেক পার্ক নির্মাণে বৃহত্তর বিনিয়োগের আহ্বান জানান।

সরকারি মেডিকেল কলেজের অবকাঠামো সংকট নিয়ে বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম, ‘অবকাঠামো ও জনবল সংকটেও আসন সংখ্যা বেড়েই চলেছে’। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, শিক্ষকসহ সার্বিক জনবল সংকটে ভুগছে দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলো। রয়েছে তীব্র অবকাঠামো সংকট। নেই পর্যাপ্ত আধুনিক শিক্ষা উপকরণ ও ল্যাব সুবিধা। এর মধ্যেও বাড়ছে আসন সংখ্যা। দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোয় এমবিবিএস কোর্সে আসন সংখ্যা সাড়ে চার হাজারের কিছু কম।আগামী শিক্ষাবর্ষে আরো এক হাজার ৩০টি আসন বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকারের স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ।জনবল ও অবকাঠামো সংকট সমাধান না করে এক ধাক্কায় প্রায় ২৪ শতাংশ আসন বাড়ানোর এ ঘোষণায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন চিকিৎসা শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা।

তারা বলছেন, মানসম্মত চিকিৎসা শিক্ষার জন্য যথাযথ শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাত নিশ্চিত করা জরুরি। কিন্তু দেশের সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর সবক’টিতেই শিক্ষক সংকট। সরকার গত দেড় দশকে ২০টি নতুন মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছে। কিন্তু কলেজগুলোয় সে অনুযায়ী শিক্ষা উপকরণ বাড়ানো হয়নি। কোনো কোনো কলেজের নিজস্ব একাডেমিক ভবনই নেই। বেশ কয়েকটির নিজস্ব হাসপাতাল নেই। রয়েছে পরীক্ষাগার, গবেষণাগার, গ্রন্থাগার, উচ্চতর ডিগ্রিধারী শিক্ষক ও দক্ষ অন্যান্য লোকবলের অভাবও। এতে ভবিষ্যতে দেশের চিকিৎসা ও জনস্বাস্থ্য খাত হুমকিতে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এদিকে, গুলশানের একটি নৈশভোজ নিয়ে অন্তহীন আলোচনা, কৌতূহল। বিশেষ করে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক অঙ্গনে। বুধবার সন্ধ্যার নৈশভোজ নিয়ে নেট দুনিয়াও সরগরম। মানবজমিনের অনুসন্ধানে নৈশভোজটির সত্যতা মিলেছে। তবে এর উদ্দেশ্য এবং অনানুষ্ঠানিক আলোচনার বিস্তারিত তাৎক্ষণিক জানা সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon