আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন
বাউফল প্রতিনিধি ॥
পটুয়াখালীর বাউফলে জমি সংক্রান্ত বিরোধের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার ঘটনায় বাউফল থানায় রুজু হওয়া মামলার আসামি আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও তার ছেলে মামুন হাওলাদার জামিনে এসে মামলা তুলে নিতে মামলার বাদী মিলন প্যাদা ওরফে ঝন্টু (৩৫)কে প্রকাশ্যে প্রাণনাশের হুমকি দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মামলার বাদীর অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, বাউফল উপজেলার কালাইয়া ইউনিয়নের কপূরকাঠি গ্রামের মৃত আব্দুল বারেক প্যাদার ছেলে মিলন প্যাদা ওরফে ঝন্টু’র সাথে একই এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদার গংদের সাথে ঝন্টু প্যাদার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চালিয়া আসছিলো ।
ওই বিরোধীয় জমি গত ৩১ ডিসেম্বর বেলা ১১ টার সময় আব্দুল মন্নান হাওলাদারের নেতৃত্বে মামুন হাওলাদার (৪০), মকবুল হাওলাদার (৪৬), মানিক হাওলাদার (৫০)সহ কয়েকজন একত্রিত হয়ে দখল করার চেষ্টা চালায়।
সংবাদ পেয়ে মিলন প্যাদা ওরফে ঝন্টু’র মা ছাহেরা বেগম (৫৫) বাঁধা দিলে তাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে ডান হাতে হাড়ভাঙ্গা ও মাথায় রক্তাক্ত গুরুতর জখম করা হয়।
পরে তার (ছাহেরার) ডাকচিৎকারে স্থানীয়রা গুরুত্বর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে বাউফল হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় আহত ছাহেরার ছেলে মিলন প্যাদা ওরফে ঝন্টু বাদি হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত ৮ জনকে আসামি করে বাউফল থানায় মামলা করে। মামলা নং-১, তারিখ ০২.০১.২৩ ইং তারিখ।
ওই মামলার আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত কিছু শর্তসাপেক্ষ্যে আসামিদের জামিন দেন। মামলার বাদি ঝন্টু অভিযোগ করে বলেন, আমার মা ছাহেরা বেগম বাউফল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।
গত শনিবার (২১ জানুয়ারি) সন্ধায় মাকে ঔষধ ও খাবার দিয়ে বাড়ী যাওয়ার পথে আব্দুল মান্নান হাওলাদার ও তার ছেলে মামুন হাওলাদার আমাকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য হুমকি দেয়।
মামলা তুলে না নিলে আমাকে মেরে হাতপা ভেঙ্গে দেয়া হুমকি দেয়। আমি এখন নিরাপত্তাহীনতায় আছি। এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুল মান্নানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের জন্য চেষ্টা করা হলে তার ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যায়।
বাউফল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন বলেন,অভিযুক্তরা জামিনে আছেন। মেডিকেল সার্টিফিকেট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। হুমকির বিষয়টি
আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।