আজ রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬:৩৪ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক॥
বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদ্ঘাটন করাসহ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত ৩ হত্যাকারীকে আটক করেছে বরিশাল জেলা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত হত্যাকারী মোঃ তৌকির মোল্লা (২২), পিতা ইয়াছিন মোল্লা, মোঃ রাতুল মোল্লা (২০), পিতা আনোয়ার মোল্লা, মোঃ মহিউদ্দিন মোল্লা, পিতা মৃত খোরসেদ মোল্লা, উভয়ের ঠিকানা ফরিদপুর ইউনিয়নের সোনাপুর গ্রাম। গ্রেফতারের পাশাপাশি হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত পৃথক আসামীদের বাড়ি থেকে চাপাতি, ছুরি ও একটি মোটর সাইকেল উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় নগরীর পলিটেকনিক্যাল সড়কস্থ বরিশাল জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সংবাদ সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম (পিপিএম বার) হত্যাকান্ডের সকল বিষয় তুলে ধরেন।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বরিশাল জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ শাহজাহান (প্রশাসন), অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মিডিয়া পয়েন্ট কর্মকর্তা রেজওয়ান আহমেদ পিপিএম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বাকেরগঞ্জ সার্কেল ফরহাদ সরদার ও বাকেরগঞ্জ থানায় সদ্য যোগদানকৃত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফজাল হোসেন প্রমুখ।
পুলিশ সুপার এসময় বলেন জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার ফরিদপুর ইউনিয়নের ইউপি সদস্য জহিরুল ইসলাম মামুন (৪০) গত ৪ঠা ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইছাপুর চৌরাস্তা থেকে নিজ বাড়ি যাওয়ার পথে জনৈক বশির গাজির বাড়ির সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে ওতঁপেতে থাকা হত্যাকারীরা নির্মমভাবে আগ্নেয়াস্ত্র দ্বারা কুপিয়ে হত্যা করে রাস্তা সংলগ্ন বাগানে ফেলে চলে যায়।
এঘটনায় থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের হওয়ার পর জেলা পুলিশ সুপারের দিকনির্দেশনায় হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনসহ হত্যাকারীদের গ্রেফতারের জন্য বাকেরগঞ্জ থানা সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ সরদারের নেতৃত্বে থানা পুলিশ ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের যৌথ সহায়তায় দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
আসামীদের স্বীকারোক্তিতে ১৩ ডিসেম্বর বিকালে তাদের সাথে নিয়ে পৃথকভাবে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি মোটর সাইকেল ও ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এব্যাপারে আসামীদের আদালতে হাজির করে আরো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে প্রার্থনা করা হবে বলে পুলিশ সুপার ওয়াহিদুল ইসলাম নিশ্চিত করেন।