আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ১০:০৬ পূর্বাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
বাকেরগঞ্জের জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মূল ঠিকানায় ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

বাকেরগঞ্জের জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মূল ঠিকানায় ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

 

বাকেরগঞ্জের জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস মূল ঠিকানায় ফেরতের দাবিতে মানববন্ধন

বাকেরগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

বরিশালের বাকেরগঞ্জে জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এমপিওভুক্ত স্থানে স্থানান্তরের দাবিতে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছে। রবিবার (১২ মার্চ) বেলা ১১ টায় উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠী জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা ভাইস-চেয়ারম্যান তহমিনা বেগম মিনুর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, জাকির হাওলাদার, আরিফুর রহমান, বজলুর রহমান, সোহেল খান, ইব্রাহিম খান, মোহাম্মাদ আলী খান, মামুন আকন, জাহিদ হাসান সুমন, আসমা খান, বিউটি বেগম, কাজল রানী সিকদার, জয়নব বেগম, নাজমা আক্তার, শাহানাজ বেগম প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, ১৯৯৭ সালে উপজেলার দুধল ইউনিয়নের সুন্দরকাঠী গ্রামে স্থাপন করা হয় জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি ২০০০ সালে পাঠদান স্বীকৃতি এবং ২০১৯ সালে এমপিওভুক্ত হয়। এর মধ্যে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আহসান হাবিব মোল্লা ও তাঁর ভাইয়েরা স্কুল ক্যাম্পাস স্থানান্তর করে গোমা এলাকায় নিজেদের বাড়ির পাশে ভবন করে নতুন ক্যাম্পাস করেন। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে সেখানে পাঠদান শুরু হলেও সরকারের অনুমতি নেওয়া হয়নি। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ২২ ফেব্রুয়ারি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক স্বাক্ষরিত এক পত্রে, ‘জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক কর্তৃক অবৈধভাবে স্থানান্তর করায় তিন কার্যদিবসের মধ্যে পূর্বের নির্ধারিত স্থানে স্থানান্তর ও শ্রেণি পাঠদান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।’ মাউশির এ আদেশ উচ্চ আদালতে রিট করে স্থগিত করেন প্রধান শিক্ষক।

বজলুর রহমান বলেন, অনুমতি না নিয়েই জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির ক্যাম্পাস অন্যত্র স্থানান্তর করেন প্রধান শিক্ষক মোঃ আহসান হাবিব মোল্লা। শিক্ষাগতযোগ্যতায় ত্রুটি থাকায় প্রধান শিক্ষকের এমপিও হয়নি বলে অভিযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার ভাইয়েরা। তাই ম্যানেজিং কমিটিতেও অনিয়ম করায় বোর্ড তা স্থগিত করে। তবে এ ক্ষেত্রেও মামলা করা হয়েছে।

বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসের দাতা সদস্য অলি আহাদ জানান, তাঁদের ক্যাম্পাসের জমি রয়েছে ১৯০ শতাংশ। তা সত্ত্বেও প্রধান শিক্ষক ব্যক্তিস্বার্থে বিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তার নিজ বাড়ির পাশে স্থানান্তর করেছেন।

মোঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার বক্তব্য বলেন, জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টির নামকরণ করা হয়েছে তিনটি এলাকা যথাক্রমে গোমা, পিলখানা, সুন্দরকাঠী নিয়ে। এলাকাবাসীর উদ্যোগে স্কুলটি সুন্দরকাঠীতে প্রতিষ্ঠিত হয়। সরকার এখানেই বিদ্যালয়টির এমপিও স্বীকৃতি দিয়েছে। প্রধান শিক্ষক এটিকে গায়ের জোরে নিজের বাড়ির পাশে স্থানান্তর করায় ছাত্র-ছাত্রী কমছে। এসব কারণে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রধান শিক্ষক মোঃ আহসান হাবিব মোল্লার পারিবারিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ায় এখানকার শিক্ষা কার্যক্রম ধ্বংসের মুখে পড়েছে।

মানববন্ধন কর্মসূচিতে এলাকাবাসী অবিলম্বে জিপিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস এমপিওভুক্তির স্থানে স্থানান্তর করে বিদ্যালয় পরিচালনার দাবি জানান। অন্যথায় তারা বৃহত্তর আন্দোলন-সংগ্রাম করার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon