আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:২৯ অপরাহ্ন
“বাজার করতে গিয়ে এখন মানুষ কাঁদছে”
পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
মানুষ বাজার করতে গিয়ে এখন কাঁদছে। এক অনুষ্ঠানে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের এমন বক্তব্য দিয়ে শিরোনাম করেছে বেশকয়েকটি পত্রিকা। জাতীয় দৈনিক যুগান্তরে বলা হয়েছে শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেছেন, অর্থনীতি ও বাজার- এ দুই জায়গায়ই তৈরি হয়েছে অসাধু ব্যবসায়ীদের শক্তিশালী সিন্ডিকেট। যার কারণে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা ঝরে পড়ছে এবং পণ্যের মূল্য বেড়ে বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। মানুষ বাজার করতে গিয়ে এখন কাঁদছে।
এই সিন্ডিকেট ধরতে না পারলে এবং ভাঙতে না পারলে আমাদের মতো মন্ত্রীদের দায়িত্বে থাকা উচিত না। শুধু তাই নয়, আমলারা যা বলেন, মন্ত্রীদের সেটাই করতে হয়। মন্ত্রী দুর্বল আর সচিব সবল হলে সেখানে মন্ত্রীর কোনো ভূমিকা থাকে না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খবরে বলা হয়েছে সরকার নির্ধারিত দামে প্যাকেটজাত চিনি পেতে হলে এক কেজি গুঁড়োদুধ অথবা ২৪ কেজির আটার বস্তা কিনতে হবে বলে শর্ত জুড়ে দিচ্ছে কোম্পানিগুলো আর এ শর্ত না মানলে ক্রেতাকে ১৩০ টাকা কেজি দরে চিনি কিনতে হবে। যদিও সরকার প্যাকেটজাত চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ১২৫ টাকা।
এদিকে, কাঁচা বাজারে ধনেপাতার সঙ্গেও শর্ত জুড়ে দিচ্ছেন বিক্রেতারা। ধনেপাতার দাম অত্যধিক বেড়ে যাওয়ায় ধনেপাতা পেতে হলে ভোক্তাকে অন্তত তিন ধরনের সবজির ক্রয়ের শর্ত মানতে হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে গিয়ে এই অদ্ভুত চিত্র চোখে পড়ে বলে খবরে বলা হয়। বলা হয় বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, হিসাবনিকাশ করেই চিনির দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে ট্যারিফ কমিশন। এখন যদি বাজারে অতিরিক্ত দামে বিক্রি হয়, তাহলে আগামী সপ্তাহ থেকেই অ্যাকশনে যাবো।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, সমস্যা হচ্ছে, আমরা খুব বেশি চাপ দিলে বাজার থেকে পণ্য সরে যায়। তখন একটা উভয় সংকটের মধ্যে পড়ে যাই। সূত্র : বিবিসি বাংলা