আজ বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৫ অপরাহ্ন
বিসিসি নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে ‘উজ্জ্বল নক্ষত্র তিন সাংবাদিক’
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
আসন্ন বরিশাল সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে শুক্রবার (২৬ মে) প্রতীক বরাদ্দের পরপরই বরিশালের উদীয়মান, উজ্জ্বল নক্ষত্র তিন সাংবাদিক নির্বাচনী ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। যারা হলেন- স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী সিনিয়র সাংবাদিক মোঃ আসাদুজ্জামান (হাতি প্রতীক), ১৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মোঃ সালাউদ্দিন সিকদার (ঘুড়ি প্রতীক) এবং মোঃ রেদওয়ান রানা, ২৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী (ঘুড়ি প্রতীক)। তারা স্থানীয় দৈনিকে বিভিন্ন পদে কর্মরত।
স্বতন্ত্র মেয়র পদপ্রার্থী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান বলেন, রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি বিশেষ করে বিগত বরিশাল সিটি মেয়রদের অত্যাচারে নাগরিকরা ওষ্ঠাগত। তারা নির্বাচন পুর্বাপর আশার বাণীসহ নানা প্রলোভন দিয়ে ফায়দা লুটেছে, শহরবাসীর পকেট কেটেছে, মানুষ আজ সংক্ষুব্ধ রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধিদের ওপর। বরিশাল সিটির মানুষ এখন আর রাজনৈতিক দলের জনপ্রতিনিধি চায় না, তারা চাইছেন একজন সেবক, যিনি শহরবাসীকে সঙ্গে নিয়ে এগিয়ে নেবে এই নগরকে।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সদা হাস্যজ্জ্বোল সাংবাদিক সালাউদ্দিন বলেন, সকলের ভালোবাসা এবং দোয়ার মাধ্যমে বেঁচে থাকতে চাই। সালাউদ্দিন সেবক হিসেবে জনগণের পাশে থেকে কাজ করতে চান। তিনি আশাবাদী ১৭ নং ওয়ার্ডের জনগণ তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবেন -এটাই তার প্রত্যাশা।
কাউন্সিলর পদপ্রার্থী সাংবাদিক মোঃ রেদওয়ান রানা বলেন, সবসময় সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করতে চাই। আগামী ১২ জুনের নির্বাচনে ভোটারদের রায়ে বিজয়ী হতে পারলে ২৯ নং ওয়ার্ডবাসীর জীবন-মান উন্নয়নে কাজ করবো। ওয়ার্ডকে দৃষ্টিনন্দন ওয়ার্ড গঠনে ও উন্নয়ন অবকাঠামো নির্ভরযোগ্য ওয়ার্ড গঠন করার লক্ষে সকল শ্রেণীর মানুষের কল্যাণে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে এলাকাবাসীর সমর্থন চাইলেন কাউন্সিলর প্রার্থী সাংবাদিক মো: রেদওয়ান রানা। তিনি বলেন, মানুষ সুষ্ঠুভাবে ভোট দিতে পারলে আমি বিজয়ী হবো, ইনশাআল্লাহ।
এদিকে, এক সময়ের তুখোড় ছাত্রলীগ নেতা মো. আসাদুজ্জামান দুই যুগের অধিক সময় ধরে তিনি সাংবাদিক পেশার সাথে জড়িত। সাংবাদিক আসাদ এর আগে বরিশাল জেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন, এমনকি স্বতন্ত্র প্রার্থিতার ঘোষণা দিয়ে মাঠও সরগরম করে তুলেছিলেন। কিন্তু তখন ক্ষমতাসীনদের বিশেষ একটি মহলের চাপে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন। যা তিনি শীঘ্রই সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে জাতির কাছে তুলে ধরবেন বলে জানান।
এক প্রতিক্রিয়ায় পঞ্চাশোর্ধ্ব সাংবাদিক আসাদুজ্জামান জানান, রাজনৈতিক দলগুলোর নেতা এবং তাদের জনপ্রতিনিধিদের অনাচারে বরিশাল শহরের বাসিন্দাদের বৃহৎ একটি অংশ সংক্ষুব্ধ। মূলত তাদের প্রেরণায় তিনি নির্বাচনে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। এতে সুশীলমহল, সাংবাদিক, রাজনৈতিক এবং সর্বসাধারণের সহযোগিতা আছে।
স্বনামধন্য আসাদুজ্জামান বরিশালের আলোচিত সাংবাদিক সংগঠন ‘নিউজ এডিটরস কাউন্সিল, বরিশাল’র কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যসহ বিভিন্ন সামাজিক-স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত এবং মানবিক কর্মকান্ডেও রয়েছে তাঁর বিশেষ অবদান।
মানুষের সেই প্রত্যাশা পূরণের ইচ্ছাশক্তি নিয়েই মেহেন্দিগঞ্জের কাজিরহাট থানাধীন একটি গ্রামের সন্তান আসাদুজ্জামান প্রার্থী হয়েছেন। বর্তমানে এই প্রতিদ্বন্দ্বী শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের ভোটার এবং তিনি শহরের আগরপুর রোডে বসবাস করছেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান কর্মক্ষেত্রে বেশ আলোচিত। বিশেষ করে প্রতিবাদী ক্ষুরধার লেখালেখি করে বিগত সময়ে সর্বমহলে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
নির্বাচনী বিশ্লেষকদের মতে, সাংবাদিকরা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় করে না। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তিনজনই জয়লাভ করতে পারে।