আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৩৮ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক॥
সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে শেষবারের মতো নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে ইসি- এবিষয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, আব্বাস, আলালসহ দলটির সিনিয়র নেতারা কারাগারে। তাই সংলাপ কার সঙ্গে হবে? আর আমরা নির্বাচন কমিশনতো বাতিল চাই। তাদের সঙ্গে কিসের সংলাপ। তাদের সঙ্গে আমরা সংলাপে যাবো না।
আগামীকাল (০৩ নভেম্বর, ২০২৩) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশের অনুমতি পেলেও ‘মহাসমাবেশ’ নিয়ে এখনো শঙ্কামুক্ত নয় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ। তাদের অভিযোগ, মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে এবং ঢাকায় আসতে বিভিন্নভাবে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সেজন্য মহাসমাবেশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত শঙ্কামুক্ত হতে পারছে না ইসলামী আন্দোলন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে চরমোনাই। আগামীকাল শুক্রবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ প্রস্তুতির বিষয়ে জানাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
মহাসমাবেশ নিয়ে শঙ্কায় আছেন কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতক্ষণ না পর্যন্ত সমাবেশ শেষ না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা শঙ্কামুক্ত নই। কখন সরকার কি পরিকল্পনা করে তা তো জানা যায় না। সমাবেশ শেষে নেতাকর্মীরা যদি নিরাপদে বাড়ি যেতে পারেন তাহলে আমরা শঙ্কামুক্ত হবো। এর আগে আমরা শঙ্কামুক্ত নই।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে বলেন, নিরপেক্ষ নির্বাচনে দাবিতে আমরা সবাই ঐকমত্য। কিন্তু যুগপৎ আন্দোলনে আমরা এখনো যাইনি। কিন্তু তাদের (বিএনপি) দাবির সঙ্গে আমরা ঐকমত্য। আর ভবিষ্যতে এক সঙ্গে কর্মসূচি করবো কি না তা পরিবেশ ও পরিস্থিতি বলে দিবে।
শনিবার (২৮ অক্টােবর, ২০২৩) বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে একজন সাংবাদিক, একজন পুলিশ এবং বিএনপির একজন কর্মি নিহত হওয়ার ঘটনায় তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন এবং সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ তদন্তসাপেক্ষে দোষীদের বিচারের দাবী করেন।
এছাড়াও নির্দলীয়, নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি করতে গিয়ে যারা গ্রেফতার হয়েছেন তাদের মুক্তির দাবি করেন।
তিনি আরো বলেন, মহাসমাবেশের কার্যক্রম মোটামুটি সম্পূর্ণ হয়েছে। প্রশাসনের মাধ্যমে অনুমতিও পেয়েছি। এরপরও কিছু কিছু জেলায় বাস মালিক সমিতি এবং লঞ্চ মালিক সমিতি অগ্রিম টাকা নিয়েও তারা তাদের পরিবহন দিতে গড়িমসি করছেন। আবার কিছু কিছু থানা ও প্রশাসন আমাদের নেতাকর্মীদের ঢাকা না আসার জন্য টেলিফোনে হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আটকও করা হয়েছিল। আবার ছেড়েও দিয়েছে। পরিবহন মালিকদেরকে বলবো, দেখুন আমরা অনুমতি পেয়েছি। তাই কোন অবস্থাতেই আমাদের নেতাকর্মীরা ঢাকায় আসতে যাতে বাধার সম্মুখীন না হোন, সেই ব্যবস্থা করবেন। আর পরিবহন দেয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
ইতিমধ্যে মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের যতগুলো পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন তা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করীম শায়খে বলেন, আগামীকাল মহাসমাবেশ থেকে ইসলামী আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে। এই মহাসমাবেশ সর্বকালের সর্ববৃহৎ মহাসমাবেশ হবে।
আগামীকাল শুক্রবার পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করবেন ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই তথ্য জানান।
কী ধরণের কর্মসূচি আসতে পারে জানতে চাইলে ফয়জুল করিম বলেন, পরিস্থিতির আলোকে সেটা আমরা আগামীকাল মহাসমাবেশে জানিয়ে দেব।
সমাবেশ কত লোক হতে পারে জানতে চাইলে ইসলামী আন্দোলনের এ নেতা বলেন, সংখ্যা তো আর বলা যাবে না তবে আশা করি সর্বকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ হবে। এই সমাবেশ কোনো দলের নয়, এটি সব জনগণের।
পুলিশের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যারা রাষ্ট্রের দায়িত্ব আছেন তাদের কাজ হলো জনগণের নিরাপত্তা প্রদান করা। তাই আমি রাষ্ট্রপক্ষের সবাইকে বলব আপনারা জনগণের বন্ধু কোনো দলের নয়, জনগণকে ভালোবাসেন কোনো দলকে নয়।
বিএনপি তো তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কথা বলছে আর আপনারা বলছেন জাতীয় সরকারের কথা, এই জাতীয় সরকারের রূপরেখা কী হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে জাতীয় সরকার হবে। তারাই নির্ধারণ করবে সরকারপ্রধান কে হবেন।