আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে সভাপতি পদে পরপর দুই বারের বেশী নয় : হাইকোর্ট

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে সভাপতি পদে পরপর দুই বারের বেশী নয় : হাইকোর্ট

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে সভাপতি পদে পরপর দুই বার নয় : হাইকোর্ট

 

শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানের কমিটিতে সভাপতি পদে পরপর দুই বারের বেশী নয় : হাইকোর্ট

পল্লী জনপদ ডেস্ক॥

কোন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিংবডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদে কোন ব্যক্তি পরপর দুই বারের বেশী দায়িত্ব পালন করতে পারবে না বলে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আর হাইকোর্টের এই নির্দেশনাটি স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিংবডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালায় সংযোজনের পরামর্শ দিয়ে রায় প্রকাশ করেছেন আদালত।

রায়ের অনুলিপি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব (মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিভাগ) ও সকল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানোরও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৭ জানুয়ারি) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় প্রকাশ করেন। রায় প্রকাশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হুমায়ুন কবির।

এর আগে গত বছরের (২০২০ সাল) ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘কোন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিংবডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা সদস্য পদে কোন ব্যক্তি পর পর দুই বারের বেশী দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না’ এই মর্মে পরামর্শ দিয়ে রায় দেন হাইকোর্ট।

অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির জানান, স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি বিধিমালা ২০০৯ এর কোথাও সভাপতি বা চেয়ারম্যান কতবার হতে পারবেন সে বিষয়ে কোনো সুস্পষ্ট বিধান নেই। এ বিষয়টি নজরে আসার পর হাইকোর্ট কোনো স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার গভর্নিংবডি বা ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বা চেয়ারম্যান কোনো ব্যক্তি পরপর দুই বারের বেশি হতে পারবেন না বলে অভিমত দিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ফুলগাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন অভিভাবক সদস্য নুরুল হক। রিটে তিনি একই ব্যক্তি বা ব্যক্তিরা ২০১৪ সাল থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় একাধিকবার সভাপতি বা সদস্য নির্বাচিত হওয়ার বিষয়টি চ্যালেঞ্জ করেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রিট আবেদনটি খারিজ করে দেন।

বিদ্যমান পরিচালনা কমিটিতে প্রবিধানমালা অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি ও গভর্নিংবডির ১৬টি দায়িত্ব পালনে বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু গভর্নিং বডির সভাপতি এসব দায়িত্বের বাইরে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় অযাচিত হস্তক্ষেপ করে। সম্প্রতি রাজধানীর একটি নামি প্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের গভর্নিং বডির সভাপতি নোটিশ দিয়ে স্কুল পাঁচ দিন বন্ধ ঘোষণা করেন। কিন্তু সভাপতির এমন ছুটি দেওয়ার এখতিয়ার নেই। ফলে কেন এখতিয়ার বহির্ভূত কাজ করল এ বিষয়ে সভাপতিকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। নোটিশের জবাবে ঐ সভাপতি ‘না জেনেই এমনটি করেছেন’ বলে জানান এবং এ কাজের জন্য বোর্ডের কাছে ‘ক্ষমা’ও চেয়েছেন। শিক্ষকরা বলছেন, কমিটির সভাপতি যদি অদক্ষ বা তার দায়িত্ব সম্পর্কে না জানেন তাহলে এমনটি হওয়া স্বাভাবিক। তাই কমিটিতে সভাপতির জন্য আরো শর্ত আরোপ করা উচিত।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির যোগ্যতা স্নাতক বা ডিগ্রি পাশ বাধ্যতামূলক। অথচ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যমান প্রবিধানমালায় যোগ্যতার উল্লেখ নেই। সংশোধিত প্রস্তাবিত প্রবিধানমালায় এইচএসসি করার প্রস্তাব চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে এইচএসসি নয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরিচালনা কমিটিতে সভাপতির শিক্ষাগত যোগ্যতা স্নাতক হওয়া উচিত। শিক্ষকরা বলছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চেয়ে মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠানের সভাপতির যোগ্যতা অবশ্যই ভিন্নতর হবে। অনার্স-মাস্টার্স কলেজগুলোর গভর্নিং বডির সভাপতির যোগ্যতা তো আরো বেশি হওয়া জরুরি।

ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, প্রবিধানমালার সংশোধন কাজ শেষ হয়েছে। এখন এটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হবে। এর পর এই প্রবিধানমালার সরকারি আদেশ জারি হবে।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon