আজ বুধবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
বাউফলের সন্তান পুলিশ সদস্যের রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে ‘রহস্যজনক’ মৃত্যু জুলাই আন্দোলনে শহীদ বাবার কবরের পাশেই মেয়ে লামিয়া সমাহিত শহীদ কন্যা লামিয়ার দাদার বিলাপ ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা চরমে, যুদ্ধের প্রস্তুতি পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস’র যোগদান ভয়াবহ দাবানলের কবলে ইসরাইল : আহত ৯, পুড়ছে ২৫০০ একর জমি ইউএনও রাসেলের পক্ষে সাফাই গাইতে মানববন্ধনের প্রস্তুতি জনপ্রিয়তা বাড়ছে, পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথে তারেক রহমান : দ্য উইক ম্যাগাজিন টিপুর জামিন গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের প্রথম বিজয় : বিএমএসএফ শিগগিরই অবৈধ সকল সরকারি ভূমি দখলমুক্ত করা হবে
শেবাচিমে চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ভাংচুর

শেবাচিমে চিকিৎসা অবহেলায় রোগী মৃত্যুর অভিযোগে ভাংচুর

 

নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চিকিৎসা অবহেলার রোগী মৃত্যুর অভিযোগে বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসকদের কক্ষে হামলা চালিয়ে ভাংচুর করেছে মৃত রোগীর স্বজনরা।

রবিবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরে হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-২ এর চিকিৎসকদের কক্ষে ভাংচুরের ঘটনায় হামলাকারী মৃত রোগীর ছেলেকে পুলিশ আটক করলেও পরবর্তীতে চিকিৎসকদের নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মৃত শহিদুল ইসলাম (৫০) বরিশাল সদর উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কলসগ্রাম এলাকার বাসিন্দা ছিলেন। মৃত শহিদুল ইসলামের শ্যালক ফারুক হাওলাদার জানান, তার বোন জামাতা শনিবার দিবাগত রাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়। রবিবার সকাল নয়টার দিকে তাকে শেবাচিম হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-২ এ ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর রোগীর বুকে ব্যাথা ও শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকেরা তাকে দ্রুত অক্সিজেন দেয়ার নির্দেশ দিলেও কর্মরত নার্সরা অক্সিজেন দিতে দেরি করায় শহিদুল ইসলামের মৃত্যু হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, এসময় চিকিৎসক এসে কর্তব্যরত নার্সদের বকাবকিও করেছে। বাবার মৃত্যুর পর তার ভাগ্নে জুম্মান হোসেন ক্ষুদ্ধ হয়ে চিকিৎসকের কক্ষে ভাংচুর করেছে। পরে পুলিশ তাকে আটক করলেও পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দিয়েছে।
হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মাইনুল ইসলাম বলেন, মৃত রোগীর ছেলে জুম্মান চিকিৎসকের কক্ষের টেবিলের গ্লাসসহ আসবাবপত্র ভেঙে ফেলেছে। জুম্মানকে আটক করা হলেও বাবার মৃত্যুর কারণে মানবিক দৃষ্টিতে চিকিৎসকের নির্দেশে পরবর্তীতে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

মেডিসিন ইউনিটের রেজিস্ট্রার ডা. সোলায়মান হোসেন বলেন, মেডিসিন ওয়ার্ডে প্রতিদিনই রোগীর মৃত্যু হয়। চিকিৎসকরা সর্বদা নিজেদের সাধ্যমতো চিকিৎসা সেবা দিতে চেষ্টা করেন। তবুও রোগীর স্বজনরা ক্ষিপ্ত হয়। তাই এ ওয়ার্ডের নিরাপত্তা বাড়ানোসহ সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা জরুরি হয়ে পরেছে।
হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকের তুলনায় রোগীর সংখ্যা অনেক। চিকিৎসক তিনজন হলে রোগী থাকে চার শতাধিক। তাই চিকিৎসকরা রোগীদের পর্যাপ্ত সময় দিতে পারেনা। কিন্তু চিকিৎসকদের অবহেলায় রোগীর মৃত্যুর যে অভিযোগ করা হয় তা সঠিক নয়। তিনি আরও বলেন, চিকিৎসকদের নিরাপত্তা বাড়ানোর চেষ্টা চলছে। ইতোমধ্যে গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে দ্রুত সময়ের মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon