আজ মঙ্গলবার, ২০ মে ২০২৫, ০৬:৪৯ অপরাহ্ন
স্ত্রীর মর্যাদা পেতে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান
নিজস্ব প্রতিবেদক॥
স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে যৌতুক মামলা চলমান। এর মধ্যেই স্ত্রী-সন্তানকে মেনে নেয়ার দাবীতে স্বামীর বাড়িতে এসে অবস্থান শুরু করেছে স্ত্রী। তবে শেষ পর্যন্ত স্বামীর মন গলাতে ব্যর্থ হয়ে ফিরতে হয়েছে বাবার বাড়ীতে। ঘটনাটি বরিশালের গৌরনদী উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের।
উপজেলার মাগুরা গ্রামের সবদের হাওলাদারের মেয়ে নাজনিন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, ২০১১ সালে একই উপজেলার তাঁরাকুপি গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে রিয়াজ ব্যাপারীর সাথে তার পারিবারিক ভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের এক বছর পর স্বামী রিয়াজকে অর্থনৈতিক ভাবে স্বাবলম্বী করার জন্য দশ লাখ টাকা খরচ করে বিদেশ পাঠিয়ে দেয় আমার বাবা। বিদেশ যাওয়ার পর আমার উপর অত্যাচার নির্যাতন শুরু করে স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা। তারা আমার পরিবারের কাছে আরও টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় অত্যাচারের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। এরই মধ্যে আমার মা অসুস্থ হওয়ায় আমি বাবার বাড়িতে চলে যাই। এরপর আমার শশুর আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
পরবর্তীতে লোকমুখে জানতে পারি আমার স্বামী আমাকে তালাক দিয়েছে। কিন্তু আমি কোন তালাকের নোটিশ পাইনি। এ ঘটনার পরপরই বরিশাল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছি। বর্তমানে মামলা এখনো চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে আমার স্বামী বাড়িতেই থাকেন। সে এখনো বিয়ে করেনি। আমিও বাবার বাড়িতেই থাকি। আমি একাধিকবার আমার শিশু সন্তানকে নিয়ে স্বামীর বাড়িতে থাকতে চেয়েছি। আমাদের একমাত্র সন্তানের কথা চিন্তা করে সর্বশেষ সোমবার দিনভর স্বামীর বসতঘরের সামনে অবস্থান করে আমাকে মেনে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেও ব্যর্থ হয়েছি। তবে স্ত্রীর সকল অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী রিয়াজ ব্যাপারী বলেন, সে (নাজনীন) আমাদের বাড়ি থেকে বিভিন্ন মালামাল নিয়ে তার বাবার বাড়িতে চলে যাওয়ার পর তাকে আমাদের বাড়িতে নিয়ে আসার জন্য কমপক্ষে শতবার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্ত সে আসেনি। এই চার বছর সে কোথায় ছিলো তাও আমার জানা নেই। এজন্য তাকে তালাক দিয়েছি। তাকে তালাক দেওয়ায় আইনত ভাবে সে এখন আর আমার স্ত্রী নাই।