আজ শনিবার, ২৭ Jul ২০২৪, ০২:৩৭ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা আবাসিক হলের ৪০১৮ নম্বর কক্ষে মঙ্গলবার ভোরে হেলমেট পরে একদল যুবক প্রবেশ করে ছাত্রলীগের দুই নেতাকে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেছে। আহতদের শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাত ও জিএম ফাহাদ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী। প্রত্যক্ষদর্শী অন্যান্য শিক্ষার্থীরা জানান, ছাত্রলীগ নেতা মহিউদ্দিন আহম্মেদ সিফাতকে একদল হেলমেট পরিহিত যুবক রুম থেকে টেনেহিঁচড়ে বের করে হাতুড়ি পেটা এবং জিএম ফাহাদের হাত ভেঙে দেয়ার পাশাপাশি দুইজনকেই কুপিয়ে জখম করা হয়।
হলের আবাসিক ছাত্র জিয়া উদ্দিন বলেন, ফজরের আযানের পর ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে হঠাৎ করে ১০/১৫ জন হেলমেট পরা যুবক আকস্মিক হলে প্রবেশ করে। এরপর তারা সব রুম বাহির থেকে আটকে দিয়ে ওই দুইজনের ওপর হামলা চালায়। আহত জিএম ফাহাদ বলেন, হামলাকারীরা হেলমেটধারী ছিলো। তবুও তাদের শনাক্ত করতে পেরেছি। হামলাকারী আলীম সালেহী, অমিত হাসান রক্তিম, রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ জিসান আহম্মেদ ও অন্যান্যরা তাদের সহযোগি। তারা আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগ নেতা রিয়াজ মোল্লা বলেন, সিফাতের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ। তারা সিফাতের অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে তাকে প্রতিহত করেছে বলে আমি ধারণা করছি। তিনি আরও বলেন, সিফাত বিশ্ববিদ্যালয়ের আশেপাশের এলাকায় জমি দখল থেকে শুরু নানাধরনের অপরাধের সাথে জড়িত।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শের-ই-বাংলা হলের প্রভোস্ট আবু জাফর বলেন, ম্যাথম্যাটিক্স ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র সিফাত ও লোকপ্রশাসন ডিপার্টমেন্টের মাস্টার্সের ছাত্র ফাহাদের ওপর অতর্কিত হামলার পুরো বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দেখছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা বলেন, আহতদের সাথে কথা বলেছি। তারা সুস্থ্য হলে আরও ভালো ভাবে মূল ঘটনা জানতে পারবো। তিনি আরও বলেন, হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে ইতোমধ্যে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।