আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৯:৩২ পূর্বাহ্ন

Logo
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

 

জুলাই-আগস্টে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে জুলাই-আগস্টে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত সংস্থা। রোববার (২০ এপ্রিল) চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে এ কথা জানান। এ সময় প্রসিকিউশনকে আগামী ২০ জুলাইয়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

শুনানি শেষে এক ব্রিফে তিনি বলেন, আজকের ট্রাইব্যুনালে তিনটি মামলার শুনানি হয়। প্রথম মামলাটি ছিল মানবতাবিরোধী অপরাধের। এ মামলায় ওবায়দুল কাদেরসহ ৪৫ জন আসামি রয়েছেন; যারা এই অপরাধের নির্দেশদাতা ছিলেন। এই মামলার ১৭ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন। আমরা আজ আদালতে মামলার তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে একটি রিপোর্ট দিয়েছি এবং দুই মাসের সময় চেয়েছি। আদালত আমাদের দুই মাসের সময় দিয়েছেন।

তাজুল ইসলাম বলেন, পরে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দুটি মামলার শুনানি হয়। জুলাই-আগস্টে গণহত্যার সম্পৃক্ততার বিষয়ে যে মামলাটি রয়েছে সেটির বিষয়ে আমরা আদালতকে জানিয়েছি। আমরা আমাদের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। যেকোনো মুহূর্তে এই তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হবে। তারপরও আমরা সত্যতার জন্য দুই মাসের সময় চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন করেছিলাম। আবেদন আদালত মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও বলেন, তৃতীয় যে মামলাটির শুনানি হয় সেটি হলো গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ক্রসফায়ার নিয়ে। এই মামলাটি আমরা ১১ জনের বিরুদ্ধে শুরু করেছিলাম। মামলায় মাত্র একজন গ্রেপ্তার আছেন। তিনি হলেন – সাবেক মেজর জেনারেল জিয়াউল হাসান। শত শত গুমের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। এর মধ্যে কয়েকটি অভিযোগের তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। তারপরও আমরা আদালতের কাছে তিন মাস সময় চেয়েছিলাম। আদালত সেটিও মঞ্জুর করেছেন। এ সময়ের মধ্যে গুমের অভিযোগগুলোর বিষয়ে তদন্ত-প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।

এদিন সকালে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীসহ ১৯ জনকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

ট্রাইব্যুনালে নিয়ে আসা আসামিরা হলেন- আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক মন্ত্রী আনিসুল হক, ফারুক খান, ডা. দীপু মনি, আব্দুর রাজ্জাক, শাজাহান খান, গোলাম দস্তগীর গাজী, আমির হোসেন আমু, কামরুল ইসলাম, রাশেদ খান মেনন ও হাসানুল হক ইনু, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা তৌফিক-ই ইলাহী চৌধুরী ও সালমান এফ রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার ও জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক এমপি সোলাইমান সেলিম, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক স্বরাষ্ট্রসচিব জাহাংগীর আলম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক জিয়াউল আহসান।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon