আজ শুক্রবার, ১৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৩:৪৭ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে জেল দিয়েছে দেশটির আদালত। শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রজেক্ট ট্রাস্টের মামলায় ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতির জন্য ইমরানকে ১৪ ও বুশরাকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এ খবর দিয়েছে অনলাইন ডন।
এতে বলা হয়, আদিয়ালা কারাগারের একটি অস্থায়ী আদালত কক্ষে এ রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক নাসির জাভেদ রানা। ইমরান এবং বুশরাকে যথাক্রমে ১০ এবং ৫ লাখ রুপি জরিমানাও করেছেন আদালত। এই জরিমানা পরিশোধে ব্যর্থ হলে ইমরানকে অতিরিক্ত ছয় মাস এবং বুশরাকে আরও তিন মাস কারাদণ্ড দেয়া হবে।
আদালতের রায় অনুসারে জাতীয় জবাবদিহিতা অধ্যাদেশ ১৯৯৯ এর ধারা ১০(এ) অনুসারে আল-কাদির ইউনিভার্সিটি প্রকল্পের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করবে ফেডারেল সরকার। রায় ঘোষণার সময় ইমরান ও বুশরা উভয়ই আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তাদেরকে জেল সুপারিনটেনডেন্টের কাছে হস্তান্তরের আদেশ দিয়েছে আদালত। ১৩ জানুয়ারি রায় তৃতীয়বার বিলম্বিত হওয়ার সময় খান আদালতে উপস্থিত হননি। এর আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তার ওপর চাপ প্রয়োগের একটি কৌশল হিসেবে রায় ঘোষণা বিলম্ব করা হচ্ছে। এ নিয়ে চতুর্থ বড় মামলায় সাবেক সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দোষী সাব্যস্ত হলেন। গত বছর জানুয়ারিতে ঘোষিত তিনটি আগের দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ঘটনাগুলো ছিল রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রি, রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য ফাঁস এবং অবৈধ বিবাহের সঙ্গে সম্পর্কিত। যদিও সেগুলো বাতিল বা স্থগিত করা হয়েছিল। তবুও ইমরান খান কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে আরও অনেক মামলা রয়েছে। যদিও এসব মামলাকে তিনি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলেই দাবি করে আসছেন।
প্রসঙ্গত, ইমরান খান বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বন্দী রয়েছেন। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এই মামলার রায় সংরক্ষণ করেছিল আদালত। এ ছাড়া পরে তিনবার রায়ের ঘোষণা বিলম্বিত করে। বুশরা বিবিকে আদালত চত্বর থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে রয়েছেন এবং তার বিরুদ্ধে প্রায় ২০০টি মামলা রয়েছে। যদিও ইমরান খান ও তার বলেছে, তার বিরুদ্ধে দায়ের করা এসব মামলা রাজনৈতিকভাবে উদ্ধেশ্যপ্রণোদিত এবং তাকে ক্ষমতায় ফিরে আসা থেকে বিরত রাখার জন্যই এসব মামলা দায়ের করা হয়েছে।