আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৯:৩৭ পূর্বাহ্ন

Logo
পবিত্র কুরবানির ঈদে নির্বাচনি ভোটের হাওয়া

পবিত্র কুরবানির ঈদে নির্বাচনি ভোটের হাওয়া

পবিত্র কুরবানির ঈদে নির্বাচনি ভোটের হাওয়া

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

একদিকে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা, অপরদিকে রাজনৈতিক নেতাকর্মিদের কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণা। তাই পবিত্র কুরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে বইছে নির্বাচনী ভোটের হাওয়া। যদিও কবে নির্বাচন হবে তা এখনো ঠিক হয়নি। নির্বাচন নিয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে চলছে জোরালো দেন-দরবার। তারপরও ধরে নেওয়া হচ্ছে, আগামী জাতীয় সংসদসহ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের আগে এটা শেষ ঈদ। এই জন্য ঈদ ঘিরেও শুরু হয়েছে ভোটের রাজনীতি।

সূত্রে জানা যায়, ঈদের আমেজে শুধু ভোটের রাজনীতি নয়, ঈদের পরে রাজনীতির মাঠও গরম হতে পারে। ঈদের পর আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি। পবিত্র ঈদুল আজহার পর বিভিন্ন ইস্যুতে এই চাপ আরও বাড়ানো হবে বলে জানা গেছে। তবে কোনো সংঘাতপূর্ণ পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয়, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকবে বিএনপি।

অভ্যুত্থানের পর রোজার ঈদের মতো এবারও মুক্ত পরিবেশে শঙ্কাহীন ও স্বস্তিতে ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন রাজনৈতিক দলের নেতারা। সম্ভাব্য প্রার্থীদের লক্ষ্য ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ কারণে বেশির ভাগ নেতাই নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। সাধারণ মানুষের কাছে জাতীয় নির্বাচনের বার্তা পৌঁছে দেবেন। ইতোমধ্যে বেশকিছু নেতা কৌশলে নির্বাচনি প্রচারণাও শুরু করেছেন। ঢাকায় যারা ঈদ করবেন, তাদের মধ্যে কেউ কেউ আবার ঈদের নামাজ শেষে যাবেন এলাকায়। কর্মী-সমর্থক ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। যোগ দেবেন নানা সামাজিক অনুষ্ঠানে। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে এসব তথ্য।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। এর মধ্য দিয়ে টানা সাড়ে ১৫ বছর পর প্রথম মুক্ত পরিবেশে গত রোজার ঈদ পালন করেছিলেন রাজনীতিকরা। এবার ঈদুল আজহা উদযাপনেও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পরিবারে বাড়তি আনন্দ যোগ হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ভোটের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ঘোষণা না হলেও যারা আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান, তাদের বেশির ভাগই এখন নির্বাচনি বার্তা নিয়ে এলাকায়। কেউ কেউ ইতোমধ্যে নিজ নিজ সংসদীয় আসনে জনসংযোগও শুরু করেছেন। অনেকে এলাকায় একাধিক পশু কুরবানি দেবেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার আন্দোলনে যারা গুম-খুনের শিকার হয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে ঈদ উপহারও পৌঁছে দিচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীসহ কয়েকটি দলের কেন্দ্রীয় নেতারা। অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগেও ঈদ উপলক্ষ্যে উপহারসামগ্রী বিতরণ করছেন। বিশেষ করে বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা ইতোমধ্যে অনেকেই নিজ নির্বাচনি এলাকায় অবস্থান করে প্রচারণা চালাচ্ছেন। একই সঙ্গে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে কেন নির্বাচন হওয়া প্রয়োজন, সে সম্পর্কেও জনগণকে যুক্তি দিয়ে তুলে ধরছেন। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামীর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও বসে নেই। নিবন্ধন ফিরে পাওয়ার পর দলীয় প্রতীকও ফিরে পাচ্ছে বলে বুধবার জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সে কারণে এখন জোরেশোরে নির্বাচনি প্রচারণায় নামবেন দলটির সম্ভাব্য প্রার্থীরা। ৩০০ আসনেই দলটির নির্বাচনি প্রচার চলবে বলে জামায়াতের একটি সূত্র জানিয়েছে। তরুণদের নতুন দল জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপিরও সম্ভব্য প্রার্থীদের বেশির ভাগই নিজ এলকায় ঈদ করবে। ইসলামী আন্দোলন, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদসহ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রার্থীরাও নিজ এলাকায় ভোটের প্রচার চালাবেন বলে জানা গেছে।

দেশবাসীকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, এবারের ঈদে বিএনপির বার্তা হলো-নেতাকর্মীরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ঈদ উদযাপন করবেন। বিশেষ করে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন ঘিরে অনেক সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের কথাবার্তা এবং আচরণে মানুষ যেন কষ্ট না পায়, সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে। পাশে থাকতে হবে জনগণের।

সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে ঢাকায় ঈদ করবেন খালেদা জিয়া : বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দীর্ঘ সাত বছর পর মুক্ত পরিবেশে এবার ঢাকায় গুলশানের ভাড়া বাসা ফিরোজায় আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন। ২০১৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে কারাগারে যাওয়ার পর থেকে গণ-অভ্যুত্থানের আগ পর্যন্ত মুক্ত পরিবেশে কোনো ঈদ উদযাপন করতে পারেননি সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। গণ-অভ্যুত্থানের পর প্রথমবার ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে লন্ডনে রোজার ঈদ করেন তিনি। সম্প্রতি চিকিৎসা শেষে বড় ছেলে তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমান ও ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমানের স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরেন। ইতোমধ্যে সৈয়দা শর্মিলা রহমান দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানের কাছে ফিরে গেছেন। আজ সকালে ঢাকা থেকে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওয়ানা হওয়ার কথা ডা. জোবাইদা রহমানের। সেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছেন স্বামী তারেক রহমান এবং তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। তারা এবার যুক্তরাজ্যে ঈদ করবেন। ঈদের দিন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে সিনিয়র নেতারা সাক্ষাৎ করবেন। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে নেতারা ভার্চুয়ালি শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। এছাড়া ঈদের দিন সকালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মাজারে ফাতেহা পাঠ ও দোয়া করবেন দলের সিনিয়র নেতারা।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ ও অধ্যাপক ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন ঢাকায় ঈদ করবেন। এসব নেতা পরে নিজ নির্বাচনি এলাকায় যাবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস নিজ এলাকা ঢাকার শাহজাহানপুর এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় নিজ নির্বাচনি এলাকা কেরানীগঞ্জে স্থানীয় নেতাকর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান নিজ এলাকায় নরসিংদীর পলাশে, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী চট্টগ্রামে, সালাহউদ্দিন আহমেদ কক্সবাজারে এবং ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু সিরাজগঞ্জে ঈদ করবেন।

সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ঢাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান ও আবদুল আউয়াল মিন্টু ঢাকায়, বরকতউল্লা বুলু নোয়াখালী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বরিশাল এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু নাটোরে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন নরসিংদীতে, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি লক্ষ্মীপুরে ঈদ করবেন। আরেক যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স ময়মনসিংহে এবং আব্দুস সালাম আজাদ মুন্সীগঞ্জের নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুল গাজীপুরে, ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল খুলনায় এবং সহসাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম খান আলীম সিরাজগঞ্জে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণাবিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গনি চৌধুরী চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে, কেন্দ্রীয় সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু নাটোরে, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল জামালপুরের মেলান্দহে এবং নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ বরিশালে নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। সহ-অর্থনৈতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন বিদেশে রয়েছেন। প্রকৌশলী ইশরাক হোসেন ঢাকায় এবং ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক ঢাকার নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। এছাড়া বেশির ভাগ নেতাই নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

জামায়াত :

জামায়য়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান মৌলভীবাজারে নিজ গ্রামে, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহী, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের কুমিল্লা এবং মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলায় নিজ গ্রামে ঈদ করবেন। সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের মক্কায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম ঢাকায়, ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম কুমিল্লা, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান সিরাজগঞ্জ, সহকারী হামিদুর রহমান আযাদ ঢাকার বসুন্ধরায়, মাওলানা আবদুল হালিম কুমিল্লা, অ্যাডভোকেট মুয়াযযম হোসাইন হেলাল বরিশাল, অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের সিলেট এবং মাওলানা মো. শাহজাহান চট্টগ্রাম মহানগরীর নিজ এলাকায় থাকবেন। কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন ঢাকায়, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ ময়মনসিংহ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব ঢাকায়, অধ্যক্ষ মো. শাহাবুদ্দিন বগুড়ায়, অধ্যক্ষ মো. ইজ্জত উল্লাহ সৌদি আরবের মক্কায়, মোবারক হোসাইন ঢাকার মোহাম্মদপুরে, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমির নূরুল ইসলাম বুলবুল চাঁপাইনবাবগঞ্জ এবং ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিন সিলেটে ঈদ করবেন।

ইসলামী আন্দোলন :

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বরিশালের নিজ এলাকায় এবং মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ খুলনার নিজ এলাকায় ঈদ করবেন।

এনসিপি :

জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির আহ্বায়ক মো. নাহিদ ইসলাম ঢাকায় ঈদ করবেন। সদস্য সচিব আখতার হোসেন ইতোমধ্যে নিজ এলাকা রংপুরে অবস্থান করছেন। সেখানে তিনি ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন ভোলায় ঈদ করবেন। সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা রাজবাড়ীতে ঈদ করার কথা রয়েছে। দলটির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম পঞ্চগড়ে, আরেক মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ কুমিল্লায় নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী চাঁদপুরে ও সিনিয়র মুখ্য সমন্বয়কারী আব্দুল হান্নান মাসউদে নিজ এলাকা নোয়াখালীতে ঈদ করার কথা রয়েছে। যুগ্ম সদস্য সচিব মুশফিক উস সালেহীন নোয়াখালী ও যুগ্ম সদস্য সচিব (দপ্তর) সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত ফেনীর নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন।

অন্যান্য দল :

এছাড়া এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি এবং ১২ দলীয় জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ঢাকায় ঈদ করবেন। গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর পটুয়াখালী এবং সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান ঝিনাইদহের নিজ এলাকায় ঈদ করবেন। ১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম লক্ষ্মীপুরে ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক এনপিপির চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ নড়াইলে নিজ নির্বাচনি এলাকায় ঈদ করবেন। আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি পার্টি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ফেনীতে নিজ নির্বাচনি এলাকায় এবং সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ ঢাকায় ঈদ করে পরে নিজ এলাকা বাবুগঞ্জে যাবেন। অবশ্য তাদের মধ্যে কেউ কেউ ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করেই নির্বাচনি এলাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেবেন। আবার অনেকে আগেই নিজ এলাকা ঘুরে এসেছেন।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon