আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ১০:৩৮ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
বাজেট ঘোষণার আগে সাংবাদিকদের জন্য প্রশিক্ষণ, সুরক্ষা ও চিকিৎসাখাতে আলাদা বরাদ্দের দাবি করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর। শুক্রবার (৩০ মে) দিবাগত রাতে এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বরিশালের কৃতি সন্তান ও বিএমএসএফ’র ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর উল্লেখ করেন, “সাংবাদিকতা পেশা নয়, এটা রাষ্ট্র রক্ষার একটি শক্তি”। তাই বাজেটের মধ্যে সেই স্বীকৃতি দাবি করা হয়েছে।
এছাড়া সাংবাদিকদের জন্য আটটি বিভাগে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন। সাংবাদিক নির্যাতন প্রতিরোধে দ্রুত বিচার সেল ও সুরক্ষা তহবিল গঠণ। সাংবাদিকদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্য বীমা এবং সরকারি হাসপাতালে অগ্রাধিকারভিত্তিক চিকিৎসা সুবিধা।
৫২’র ভাষা আন্দোলন থেকে ৬৯ গণঅভ্যুত্থান, ৭১’র মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪’র গণঅভ্যুত্থানে সাংবাদিকদের অবদান ইতিহাসের অংশ। তাই বাজেটে তার প্রতিফলন থাকার দাবি করে আহমেদ আবু জাফর আরও উল্লেখ করেছেন, “গণতন্ত্র বাঁচাতে হলে সাংবাদিকদের রক্ষা করতেই হবে”।
যেকারণে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট ঘোষণার প্রাক্কালে সাংবাদিকদের জন্য আলাদা বরাদ্দ রাখার জোর দাবি করেছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও নির্বাহী কমিটির সভাপতি আহমেদ আবু জাফর।
তিনি বলেন, “রাষ্ট্রের প্রতিটি সংকটে সাংবাদিকরা সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন। অথচ রাষ্ট্রীয় বাজেটে সাংবাদিকদের সুরক্ষা, প্রশিক্ষণ ও চিকিৎসার বিষয়ে কোনো দৃশ্যমান বরাদ্দ নেই, এটা দুর্ভাগ্যজনক।”
তিনি বাজেটে তিনটি খাতে বিশেষ বরাদ্দের দাবি করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-জেলা ও উপজেলায় সাংবাদিকদের জন্য বিভাগ ভিত্তিক আধুনিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন ও নিয়মিত ওয়ার্কশপের ব্যবস্থা।
সাংবাদিক নির্যাতন রোধে আইন প্রণয়ন করে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় বিশেষ সেল গঠণ এবং সাংবাদিক সুরক্ষা তহবিল চালু।
সাংবাদিকদের জন্য স্বাস্থ্য বীমা চালু এবং সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা সাশ্রয়ী চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণ।
আহমেদ আবু জাফর বলেন, “সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালনে প্রায়ই হামলা, মামলা ও হুমকির মুখে পরেন। বাজেটে এসব ঝুঁকি মোকাবেলার বাস্তব উদ্যোগ থাকতে হবে।”
সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে আহমেদ আবু জাফর বলেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে সাংবাদিকদের মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, আর তার প্রথম শর্ত হলো রাষ্ট্রীয় বাজেটে সাংবাদিকবান্ধব বরাদ্দ নিশ্চিত করা।