আজ রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
ভারতের কাছে আমার প্রশ্ন ইসকনের সদস্যরা কি বাংলাদেশের নাগরিক? তারা বাংলাদেশের নাগরিক হলে তাদের ভালো মন্দ, অধিকার ও বিচার বাংলাদেশ করবে। এই ইসকনের বিষয়ে ভারত সরকার ও ভারতের মিডিয়া এতো উৎসাহী কেন?
ভারতের ৩ দিকে আমরা। আমরা ভারতের পেটের মধ্যে নয় বরং ভারত আমাদের পেটের মধ্যে। ভারতের সাথে আমরা মারামারি করতে চাই না। প্রতিবেশীর সাথে সুসম্পর্ক রাখতে চাই। আমরা ভারতের গোলামী করতে চাই না। মুসলমান প্রয়োজনে ঘাস খেয়ে থাকবে কিন্তু ভারতের গোলামী করবে না। মুসলমান বাজপাখি। সাড়া দুনিয়া মুসলমানদের। মুসলমানের নির্দিষ্ট কোনো সীমানা নেই। ভারত যদি বাংলাদেশে রক্তপাত করা বা ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অপচেষ্টা করে তবে ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের প্রত্যেকটি নাগরিক ঐক্যবদ্ধভাবে ষড়যন্ত্র ও দেশের মাটির জন্য ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবো। ইসকনের সদস্যরা নিজেদেরকে এদেশের নাগরিক মনে করে কিনা এটা সন্দেহ। এদেশের ভারতের দালালরা সতর্ক হয়ে যান। আমরা মুসলমান সন্ত্রাস ও বৃটিশের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। আমরা পিছু হবো না।
বরিশালের ঐতিহাসিক চরমোনাই বার্ষিক মাহফিলের তৃতীয় দিনে শুক্রবার (২৯ নভেম্বর, ২০২৪) জুমার নামাজের আগে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর সিনিয়র নায়েবে আমীর ও প্রখ্যাত আলেম মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম (শায়খে চরমোনাই) গুরুত্বপূর্ণ বয়ানে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারত নিজেদেরকে বাঘ ভাবে কিন্তু আমি তাদেরকে কিছুই মনে করি না। অতীতে দীর্ঘ সময় মুসলমানরা ভারত শাসন করেছে। ভারত মুসলমানের দেশ। এই ভারত যুদ্ধের মাধ্যমে নয়, ষড়যন্ত্র করে মুসলমানদের হাত থেকে বৃটিশ দখল করেছে। ভারতের সংখ্যাগরিষ্ঠরা মুসলমানদের সাথে যুদ্ধ করে কখনো জয়ী হতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, “নছিহতের নামই দ্বীন। যতদিন নছিহত থাকবে, ততদিন দ্বীন কায়েম থাকবে। নছিহত শুধু একজন আলেম বা ইমামের দায়িত্ব নয়, বরং বাবা, মা, শিক্ষক বা মুর্শিদ যে-ই হোক, নছিহত করতে পারে এবং তা করা অত্যন্ত জরুরি। কারণ নছিহতের মাধ্যমেই মানুষ সঠিক পথে ফিরে আসে এবং ইসলামের সুমহান আদর্শ প্রতিষ্ঠিত হয়।
মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, নছিহত মোমেনদেরকে ফায়দা দিবে। বৃষ্টির পানি পাথরে পড়লে যেমন ফায়দা হয় না,অথচ মাটির মতো জমিনে বৃষ্টির পানি পড়লে উপকার হয়। তেমনি যে ক্বলব পাথরের মতো সে ক্বলবে কাজ নাও হতে পারে এজন্য মাটির মতো ক্বলব হতে হবে। আমাদের মধ্যে যদি বোঝাপড়া, মানামানি থাকে তবে আমরা সবচেয়ে দামী মানুষ হবো। ইট যদি ভাঙ্গা ও টুকরো হবার আঘাত সহ্য না করতো তবে সুন্দর ভবন হতো না। এভাবে অনেক মানুষকে ত্যাগ করতে হবে। এটা না হলে সুন্দর কিছু হবে না। সুন্দরের জন্য আমাদের ত্যাগ করতে হবে, কষ্ট স্বীকার করতে হবে। তিনি বলেন, মতানৈক্যের কারণে অনেকে ধ্বংস হয়েছে। আমরা যদি মতানৈক্য সৃষ্টি করি তবে আমরাও ধ্বংস হয়ে যাবো। মানুষের মন নষ্ট হওয়ার জন্য একটি কথাই যথেষ্ট।
তিনি উপস্থিত মুসল্লিদের নিয়ে শ্লোগান দিয়ে বলেন, দালালি করলে পিঠের চামড়া থাকবে না। রুশ ভারতের দালালরা হুঁশিয়ার সাবধান। আল কোরআনের আলো ঘরে ঘরে জ্বালো।
শায়েখে চরমোনাই বলেন, অনেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য দালাদী ও ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। ওদের দালালি ও ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে ইসলামী হুকুমত কায়েম করতে হবে।
তিনি বলেন মুসলমানের গুলি পিঠে নয় বুকে লাগে। এই মাটি ও মানুষের কল্যাণের জন্য কথা বলতে হবে। যে কোন ষড়যন্ত্র জীবন দিয়ে মোকাবেলা করতে হবে। ইসকনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। এ দেশে ইসকনের কোন অফিস থাকবে না। একযুগ আগে ইসকনের বিরুদ্ধে আমি কথা বলেছিলাম তখন তারা গুরুত্ব দেয়নি। এখন তারা বুঝতে শুরু করেছে।