আজ শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৬ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ রোববার (১৭ নভেম্বর)। ১৯৭৬ সালের এই দিনে ঢাকার তখনকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়।এ উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বাণী দিয়েছেন। ভাসানীর আদর্শ নতুন প্রজন্মকে দেশপ্রেম ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করবে প্রত্যাশা করে রাষ্ট্রপতি তার বাণীতে বলেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মওলানা ভাসানী দেশ ও জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। তিনি সব সময় ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশ ও জনগণের প্রতি তার গভীর ভালোবাসাই তাকে জননেতায় পরিণত করেছে।
রোববার রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ
বাণীতে রাষ্ট্রপতি মওলানা ভাসানীর ৪৮তম মৃত্যুবার্ষিকীতে তার স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
মওলানা ভাসানীর মৃত্যুবার্ষিকীতে বাণী দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। লন্ডন থেকে সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি বলেন, মওলানা ভাসানীর অবস্থান ছিল শোষণের বিরুদ্ধে এবং শোষিতের পক্ষে। অধিকার আদায়ে তিনি এ দেশের মানুষকে সাহস জুগিয়েছেন তার নির্ভীক ও বলিষ্ঠ নেতৃত্ব দিয়ে।
সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর মওলানা ভাসানী জন্মগ্রহণ করেন। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তিনি প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন। ১৯৪৯ সালে গঠিত আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫৭ সালের ২৪ জুন ভাসানীর সঙ্গে আওয়ামী লীগের সম্পর্কের স্থায়ী বিচ্ছেদ ঘটে।