আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪২ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
সারাদেশে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে সহিংসতায় রাজনৈতিক দলের সাথে সাংবাদিকদের জড়িয়ে যে মামলা গুলো দায়ের করা হয়েছে তা তদন্তে দোষী প্রমানিত না হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে গ্রেফতার বা কোনরুপ হয়রানি না করতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ) বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এ দাবি করেন। তিনি বলেন, এ সকল হয়রানিমূলক মামলায় আসামি সাংবাদিকরা পেশা ও ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে, জামিনও মিলছে না। অনেকের ঘরবাড়ি -অফিসে হামলা, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, মোটরসাইকেল ও ক্যামেরা ছিনতাই করা হয়েছে। মামলা ও হামলাকারীদের ভয়ে পরিবার-পরিজনের খোঁজ খবরটুকুও নিতে পারছেনা। প্রায় দুই মাস ধরে এ সকল হয়রানির শিকার সাংবাদিকের পরিবার গুলোর অনেকেই অনাহারে-অর্ধাহারে চরম খারাপ সময় পার করছেন। জুলাই এবং আগস্টে হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে সারাদেশে কয়েক হাজার মামলা দায়ের হয়েছে। এ সকল স্পর্শকাতর অধিকাংশ মামলায় শত শত নিরীহ সাংবাদিককে আসামি করা হয়েছে ; যা নিন্দনীয়।
প্রসঙ্গত: রাষ্ট্রের যেকোন সংকটকালে সাংবাদিকরা তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করে থাকেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার এ আন্দোলনেও সাংবাদিকরা পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ, ভিডিও এবং ছবি তোলেন। এটা তাদের পেশাগত দায়িত্ব এবং কাজ। এই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে কেনো জ্বালাও-পোড়াওসহ মানুষ হত্যার মত স্পর্শকাতর মামলায় সাংবাদিকরা আসামি হবেন!
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরামের দাবি সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মাধ্যমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আদেশে “তদন্তে দোষী প্রমানিত হওয়ার আগে কোন সাংবাদিককে হয়রানি করা যাবেনা” মর্মে একটি সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হোক। মামলার শিকার সাংবাদিকরা পুনরায় তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে চায়।
এদিকে সারাদেশে এই আন্দোলনে কতজন সাংবাদিক আহত এবং নিহত হয়েছেন, কতজন সাংবাদিক বিভিন্ন মামলার আসামি হয়েছেন, কতজন সাংবাদিকের ঘরবাড়ি লুটপাট, অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, কতজন সাংবাদিকের ক্যামেরা, মোটরসাইকেল ছিনতাই সহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিএমএসএফের পক্ষ থেকে তাদের তথ্য সংগ্রহ করে সরকারের নিকট জমা দেওয়া হবে।