আজ শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৩:৪৪ অপরাহ্ন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থান
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে স্বৈরাচারের পতন হলেও ঝরে পড়েছে শত শত তাজা প্রাণ। ছাত্র-জনতার এই গণঅভ্যুত্থানে আহত হয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। নিহত শহিদদের সংখ্যা সঠিকভাবে নির্ণয় করার লক্ষে কাজ করছে সরকার। যারা বুকের রক্ত দিয়ে ছিনিয়ে এই নতুন বাংলাদেশ তাদের নাম সঠিকভাবে সংরক্ষণে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফয়সল হাসান এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য বিবরণী ১০২০ এ বলা হয়, জুলাই-আগস্ট ২০২৪-এ সংঘটিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল ও জেলা পর্যায় হতে সংগৃহীত ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শহিদদের নামের খসড়া তালিকা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের ওয়েবসাইট: www.hsd.gov.bd-এ এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট: www.dghs.gov.bd-এ প্রকাশ করা হয়েছে।
তথ্য সংশোধন ও সংযোজন করার জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশিত তালিকাটি ২৩ সেপ্টেম্বর হতে ৬ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। তালিকায় প্রকাশিত নাম, ঠিকানা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যাদি যাচাই, সংশোধন ও পূর্ণাঙ্গ করতে শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিগণকে অনুরোধ করা হলো। প্রকাশিত তালিকার বিষয়ে কারো কোনো মতামত, পরামর্শ এবং নতুন কোনো তথ্য-উপাত্ত সংযোজন করার মতো থেকে থাকলে তা সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে জানানোর জন্য অনুরোধ করা হলো।
প্রকাশিত তালিকার তথ্য সংশোধনের জন্য নিম্নরূপ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে:
ক) শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিগণকে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি)/জন্মনিবন্ধন ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
খ) রেজিস্ট্রেশনের পর শহিদ ব্যক্তির তথ্য ডাউনলোড ও প্রিন্ট করতে হবে।
গ) প্রিন্ট করা কাগজের যে ঘরগুলোতে তথ্য নেই, সেগুলো পূরণ করতে হবে।
ঘ) পূরণকৃত তথ্য নিয়ে সেবা গ্রহণকৃত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল অথবা নিকটস্থ সরকারি হাসপাতালে গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান তথ্য সংশোধনে সহায়তা করবে।
ঙ) প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধি কর্তৃক পূরণকৃত ফরমটি জমা নিয়ে অনলাইনে তথ্যগুলো হালনাগাদ করবেন।
চ) দাখিলকৃত তথ্য যথাযথভাবে সন্নিবেশিত বা সংশোধিত হলো কিনা তা ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে পুনরায় যাচাই করা যাবে।
সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহিদদের মধ্যে যদি কারো নাম এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত না হয়ে থাকে তাহলে শহিদ পরিবারের সদস্য, ওয়ারিশ ও প্রতিনিধিগণকে উপযুক্ত প্রমাণকসহ সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক, সিভিল সার্জন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে।
সরকারের এমন উদ্যোগেসঠিকভাবে শহিদ ছাত্র-জনতার নাম ও বিস্তারিত তথ্য ওঠে আসবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। তবে এরপরও যারা তাদের কোনো শহিদ আত্মীয় বা ওয়ারিশের নাম সরকারিভাবে তৈরি তালিকায় তুলতে না পারবেন, তাদের জন্য দুঃসংবাদ।