আজ সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১০:০১ অপরাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নে বাধা কোথায় : বিএমএসএফ অবশেষে কনস্টেবল সুজন গ্রেফতার, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ এবার টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে বরখাস্তের দাবি ব্রিটেনের প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার জাতি চায় একটি সুন্দর বাংলাদেশ : চরমোনাই পীর কাতার আমিরকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান টিউলিপকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরানোর কথা ভাবছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী নওমালা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে সভাপতি নির্বাচিত হলেন জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা ৮ হাজার কিলোমিটার দূরে আজ মা-ছেলের মহাপুনর্মিলন সুস্থ হয়ে ফিরবেন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া গোয়েন্দাজালে আ’লীগের নৈশভোটের কুশীলব ১১৬ ডিসি-এসপি
শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, আলোচনার ঝড়

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, আলোচনার ঝড়

শেখ হাসিনার ফোনালাপ ফাঁস, আলোচনার ঝড়

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠা ছাত্র-জনতার ব্যাপক গণবিক্ষোভের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪) শেখ হাসিনার ফোনালাপ ছড়িয়ে পড়ে সামাজিকমাধ্যমে। ওই ফোনালাপে তানভীর নামে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে কথা বলেন তিনি। সেখানে নিজেকে এখনো প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন হাসিনা। এছাড়া খুব দ্রুত দেশের ফিরবেন বলে জানান তিনি।

ফোনালাপের অংশ:

তানভীর : আপা আপনার কাছে ফোন দিয়েছি একটা ব্যাপারে, নিউইয়র্ক মহানগরে আমরা এমদাদ ভাইয়ের নেতৃত্বে মিটিং মিছিল করছি।

কিন্তু এলাকার পরিস্থিতি খুব খারাপ। কামরাঙ্গীর চর-কেরাণীগঞ্জের সকল নেতাকর্মী এলাকার বাইরে।

এরপর শেখ হাসিনাকে বলতে শোনা যায়, সব মার্ডার কেস। সবার বিরুদ্ধে মার্ডার কেস।

তানভীর : এলাকার ছাত্রলীগ-যুবলীগকে আমি সহায়তা করছি। আপনি যদি বলেন তুমি এখানে থেকে ওদের হেল্প করো, করলাম। আর যদি বলেন তুমি দেশে গিয়ে দল গোছানোর চেষ্টা করো তাহলে করবো আপা। আপনার সিদ্ধান্ত আপা।

শেখ হাসিনা বলেন, এখানে বসে এখন সাহায্য করো। এটাই সবচেয়ে বেশি কাজে লাগবে। দেশে পরে গেলেও হবে।

তানভীর : আইনজীবীরা দাঁড়াতে পারছে না। এই বিষয়ে যদি আপনি পরামর্শ দিতেন…

শেখ হাসিনা বলেন, আইনজীবীদের বলো লোকজনকে অরগানাইজ করে যেন আইনজীবীরা সেখানে যায়।

তাছাড়া তো আর কোনো… এরপরে শেখ হাসিনাকে আবার বলতে শোনা যায়, তুমি যেখানে আছো সেখানে তো ইলেকশন চলছে। তাদের ক্যাম্পেইনিংয়ের সময় তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা, ক্যাম্পেইনিংয়ে সহযোগিতা করার সাথে সাথে এই বিষয়গুলো জানিয়ে রাখা। এদের কাছ থেকে একটা সাপোর্ট নিয়ে আসা।

তানভীর: আমার মনে হয় এবার ট্রাম্প আসবে। ট্রাম্প আসলে আমাদের জন্য খুবই ভালো আপা।

শেখ হাসিনা বলেন, সে যেই আসুক। তাদের ক্যাম্পেইনিংয়ে থাকলে, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ হলে ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। এটা আমি সবাইকে বলেও দিয়েছি।

তানভীর : আপা বাংলাদেশে একটা নিউজ আসছে, আপনাকে গাজিয়াবাদ থেকে দিল্লিতে ট্রান্সফার করছে হেলিকপ্টারে করে।

হাসিনা অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন হেলিকপ্টার দিয়ে? বলেন, কোন দেশের হেলিকপ্টার। ছবি পাঠাইও দেখবোনে। কি একটা আজগুবি কথা বলে ওরা। আমি দেশের খুব কাছাকাছি আছি। অতদূরে নাই। আমি খুব কাছাকাছিই আছি, যাতে আমি চট করে ঢুকে পড়তে পারি।

এ সময় কাঁদতে কাঁদতে তানভীর বলেন, আপা কষ্ট লাগে, আপনি যে মিডিয়াদের দিয়ে আসছেন, এরা সত্য বলে না, এরা কাজ করে না আপা। কই যাবো আপা। আল্লাহ আপনারে বাঁচাই রাখুক। আমরা আছি আপা। আপনি যখন নির্দেশ দেবেন, তানভীর তুমি আমেরিকা থেকে দেশে চলে আসো, এসে কামরাঙ্গীর চর-কেরাণীগঞ্জে দলীয় নেতৃত্ব গোছাও, আপনি বললে সাথে সাথে দৌঁড় দেব আপা।

শেখ হাসিনা বলেন, এখন গেলেই দেবে একখানা মামলা, শেষে কিছুই করতে পারবা না। আমার বিরুদ্ধে ১১৩টা মামলা। এইসব জিনিসগুলো নিয়ে জাতিসংঘ থেকে সবার কাছে বলা দরকার, ফলস মামলা দিচ্ছে। আমার পরিবারের কেউ বাকি নাই। সবার নামে মামলা।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon