আজ বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০৪:১১ পূর্বাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
তারেক-জুবাইদার মামলায় বিচার নিরপেক্ষ ছিল না : হাইকোর্ট মধ্যরাতে চরমোনাই দরবারে এনসিপির নাহিদসহ কেন্দ্রীয় নেতারা স্বচ্ছতায় ভূয়সী প্রশংসায় ভাসছেন ধর্ম উপদেষ্টা দাবি আদায়ে রাষ্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান, ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম ফ্যাসিস্ট সরকার পালালেও দেশের মানুষের নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি : শায়খে চরমোনাই বাকেরগঞ্জে অজ্ঞান করে ঘরের সর্বস্ব লুট! ঘটনাস্থলে জামায়াত নেতৃবৃন্দ পুতুলকে বাধ্যতামূলক ছুটিতে পাঠাল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অসুস্থ আইনজীবী খায়ের’র খোঁজ নিতে হাসপাতালে জামায়াতের জেলা আমীর মিটফোর্ডের ঘটনা ‘আইয়ামে জাহেলিয়াতকেও হার মানানো বর্বরতা’ : চরমোনাই পীর রাজধানীতে নৃশংস হত্যার ঘটনায় ২ আসামি রিমান্ডে : বিএনপির ৩ অঙ্গ সংগঠনের ৫ জন বহিষ্কার
অবশেষে বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল

অবশেষে বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল

অবশেষে বহুল আলোচিত ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ।

ফলে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী। এখন থেকে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে থাকবে।

রোববার (২০ অক্টোবর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৬ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন। এ রায়ের ফলে দীর্ঘ আট বছর পর নিষ্পত্তি হলো গুরুত্বপূর্ণ এ রিভিউ আপিলের।

আইনজীবীরা জানান, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদ সদস্যদের হাতে এনে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করা আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদন পর্যবেক্ষণসহ নিষ্পত্তি করেছেন আপিল বিভাগ। এর ফলে এখন থেকে উচ্চ আদালতের বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা ‘সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল’র হাতে ফিরে এসেছে।

এর আগে, বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা জাতীয় সংসদের কাছে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী আনা হয়। তবে এর বৈধতা নিয়ে রিট করলে ২০১৬ সালের ৫ মে হাইকোর্টের বিশেষ বেঞ্চ ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন। ওই রায়ের বিরুদ্ধে ২০১৭ সালে আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। পরে ওই বছরের ৩ জুলাই আপিলটি খারিজ করে রায় দেন আপিল বিভাগ।

এরপর ২০১৭ সালের ১ আগস্ট আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। পরে ওই বছরের ২৪ ডিসেম্বর রায় রিভিউ চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। ওই রিভিউ পিটিশন গত আট বছরেও শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। কিন্তু অন্তর্বতী সরকার আসার পর গত ১৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৫ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালে মূল সংবিধানে বিচারপতি অপসারণ সংক্রান্ত ক্ষমতা জাতীয় সংসদের হাতে ছিল। ৭৫ সালে এই ক্ষমতা সংসদের কাছ থেকে সরিয়ে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে দেওয়া হয় রাষ্ট্রপতির কাছে। এরপর ১৯৭৭ সালে সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপরাসণের ক্ষমতা দেওয়া হয় জুডিশিয়াল কাউন্সিলের হাতে। কিন্তু ২০১৪ সালে আওয়ামী সরকার ষোড়শ সংশোধনীর মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা আবারও সংসদের হাতে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল।

 

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon