আজ শুক্রবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৯ অপরাহ্ন

Logo
বাংলাদেশে ডেঙ্গু : আক্রান্ত ৪৯ হাজার ১৩৮, মারা গেছে ২৪৬ জন

বাংলাদেশে ডেঙ্গু : আক্রান্ত ৪৯ হাজার ১৩৮, মারা গেছে ২৪৬ জন

 

বাংলাদেশে ডেঙ্গু : আক্রান্ত ৪৯ হাজার ১৩৮, মারা গেছে ২৪৬ জন

পল্লী জনপদ ডেস্ক॥

বাংলাদেশে স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর ৩০ জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ৪৯ হাজার ১৩৮ জন মানুষ। এ সময়ে মারা গেছেন ২৪৬ জন।

বাংলাদেশে ডেঙ্গুর পিক সিজন সাধারণত ধরা হয় অগাস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত সময়কে। ২০২২ সালে দেশে মোট ৬২,০৯৮ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন, মারা গিয়েছিলেন ২৮১ জন। ২০০০ সাল থেকে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর বার্ষিক হারের হিসাবে সেটাই ছিল সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালে আটটি বিভাগের ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যুর পরিসংখ্যান থেকে দেখা গেছে, ঢাকা, চট্টগ্রাম এবং বরিশালে সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি।

চলতি বছর চট্টগ্রামে পহেলা জুলাই থেকে প্রতিদিন ১০ টিরও বেশি হারে সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। আর চুয়াডাঙ্গায় সোমবার পর্যন্ত দিনের হিসাবে সংক্রমণের হার শূন্য হলেও, গত ছয় দিনে ২০টি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে।

বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি ডেঙ্গু আক্রান্ত জেলা কোনগুলো, আর আপনি ডেঙ্গু সংক্রমণ ক্লাস্টারের কত কাছাকাছি রয়েছেন, জানতে নিচের ম্যাপে ক্লিক করুন।

রোববার মানে ৩০শে জুলাই পর্যন্ত স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, গত এক দশকের মধ্যে এ বছরের জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ ডেঙ্গু সংক্রমণ হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালের জুলাই মাসে দেশে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিলেন, সংখ্যাটি ছিল ১৬ হাজার ২৫৩জন।

সোমবার ৩১শে জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২৪৬জন, যার মধ্যে ৩৬জন শিশু এবং তাদের বয়স ১৬ বছরের নিচে। তবে এ বছর ২১ থেকে ২৫ বছর বয়সীদের বেশি মৃত্যু হচ্ছে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবে, ২০২২ সালে বাংলাদেশে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর হার ছিল সবোর্চ্চ। সে বছর জুন মাস থেকে ব্যাপক বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। বৃষ্টিপাতের সাথে তাপমাত্রা এবং আর্দ্রতাও বেড়েছিল, যার ফলে দেশে মশার সংখ্যাও বহুগুণ বেড়ে গিয়েছিল।
ডেঙ্গু কীভাবে ছড়ায়? বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রাথমিকভাবে সংক্রমিত স্ত্রী এডিস এজিপ্টি মশার কামড়ে ডেঙ্গু ছড়ায়। পুরুষ মশা সাধারণত ফুলের রেণু খায়, কিন্তু স্ত্রী মশার ডিম পাড়ার জন্য রক্তের প্রয়োজন হয়।

মশার জীবনচক্র :

এডিস এজিপ্টি মশার জীবনের চারটি ধাপ আছে- ডিম, লার্ভা বা শূককীট (জলাবদ্ধ পরিবেশে থাকে), পিউপা বা মূককীট এবং প্রাপ্তবয়স্ক মশা (ডিম পাড়ার জন্য যার রক্ত প্রয়োজন হয়)। এই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে সাধারণত সাত থেকে ১০দিন সময় লাগে, এরপরই সে বিভিন্ন রোগ, যেমন ডেঙ্গু এবং ইয়েলো ফিভার বা পীতজ্বর ছড়ানোর উপযোগী হয়।

মশার জীবন চক্র

প্লেটলেট বা প্লাটিলেট বাড়াতে পারে যেসব খাবার : ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের শ্বেত কণিকা এবং রক্তের অনুচক্রিকা বা প্লেটলেট, যা প্লাটিলেট নামেও পরিচিত, তা কমে যেতে পারে। স্বাভাবিক অবস্থায় রক্তে প্লেটলেটের সংখ্যা দেড় থেকে চার লাখ পর্যন্ত থাকে, কিন্তু ডেঙ্গু রোগীদের ক্ষেত্রে সেটি ২০ হাজার থেকে ৪০ হাজার পর্যন্ত নেমে যেতে পারে।

এছাড়া ডেঙ্গু ভাইরাস বোনম্যারো বা অস্থিমজ্জার ক্ষতি করে আর এই বোনম্যারো শরীরে প্লেটলেট তৈরি করে। এটি শরীরে অ্যান্টিবডি এবং প্লেটলেট তৈরি করে এমন রক্ত কণিকাকেও আক্রমণ করে। সূত্র : বিবিসি বাংলা

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon