আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন

Logo
নির্মাণকাজের উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘বগা সেতু’

নির্মাণকাজের উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘বগা সেতু’

নির্মাণকাজের উদ্বোধনের অপেক্ষায় ‘বগা সেতু’

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

স্বাধীনতার ৫৪ বছরের প্রতিক্ষার অবসান হচ্ছে অবহেলিত-বঞ্চিত বাউফল, দশমিনা, গলাচিপা উপজেলা ও ভোলা জেলাবাসীর। পটুয়াখালীর লোহালিয়া নদী। জেলা শহর থেকে আলাদা করেছে বাউফল, দশমিনা ও গলাচিপা উপজেলাকে। তিন উপজেলাবাসীর যাতায়াতে একমাত্র ভরসা বগা ফেরি। যুগযুগ ধরে এখানে একটি সেতু নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের। অতীতে জনপ্রতিনিধিরা বারবার আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। অবশেষে ১৫ লাখ মানুষের স্বপ্নের সেতু বাস্তবায়নের পথে।

মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার কার্যালয়ে সেতু নির্মাণ প্রসঙ্গে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. ফাওজুল কবির খানের সাথে সাক্ষাৎ করেন বাউফল উন্নয়ন ফোরামের চেয়ারম্যান ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ।

সাক্ষাৎ শেষে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে ড. মাসুদ জানান, বগা সেতু নির্মাণে ইতোমধ্যে চীনের একটি প্রতিনিধি দল সম্ভাব্যতা যাচাই (ফিজিবিলিটি স্টাডি) সম্পন্ন করেছে এবং সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) ডিপিপি প্রণয়ন কার্যক্রম শুরু করেছে। জমি অধিগ্রহণের নির্দেশনাও সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দেওয়া হয়েছে বলে উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান তাকে অবহিত করেছেন।

ড. মাসুদ বলেন, “এই সেতু বাউফলসহ চারটি উপজেলার প্রায় ১৫ লাখ মানুষের যাতায়াতের একমাত্র ভরসা। ফেরিঘাটে দীর্ঘ অপেক্ষা ও দুর্ভোগ নিত্যদিনের সঙ্গী। সময়মতো চিকিৎসা না পেয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে, কৃষকরা উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। শিক্ষার্থী, চাকরিজীবী এবং ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রেও একই দুর্ভোগ।”

তিনি আরও বলেন, “সেতু নির্মাণ হলে জাতীয় মহাসড়কের সঙ্গে চারটি উপজেলা সরাসরি যুক্ত হবে। ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, পর্যটন ও ব্যাংকিং খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও ত্বরান্বিত হবে।”

বগা সেতুকে নবম চীন-মৈত্রী সেতু হিসেবে বাস্তবায়নের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে জানিয়ে তিনি চীন সরকারের প্রতিও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

এ সময় তিনি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদনপত্র জমা দিয়েছেন বলেও জানান। আশা প্রকাশ করেন, অচিরেই বগা সেতুর বাস্তবায়ন শুরু হবে।

ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরির অপেক্ষায় থেকে ঘাটেই মৃত্যু হয় অনেক রোগীর। কৃষকরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সহজে বাজারজাত করতে পারে না। শিক্ষার্থী ও চাকরিজীবীরা নির্দিষ্ট সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্যর্থ হন। এমনকি ব্যাংকিং সেক্টরও অনিরাপত্তায় ভোগে এই সেতুর অভাবে।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের পটুয়াখালী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী জামিল আক্তার বলেন, ইতোমধ্যে নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করেছে চিনা প্রতিনিধি দল। খুব তাড়াতাড়িই সেতুর কাজ শুরু হবে।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon