আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

Logo
পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ : ৫০ সেনা হত্যার দাবি পাকিস্তানের

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ : ৫০ সেনা হত্যার দাবি পাকিস্তানের

 

পাকিস্তান-ভারত যুদ্ধ : ৫০ সেনা হত্যার দাবি পাকিস্তানের

পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥

ভারতের সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ সদস্যকে হত্যার দাবি করেছে পাকিস্তান। বৃহস্পতিবার (০৯ মে, ২০২৫) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে দেওয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন দেশটির তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী বলেছেন, ভারত ও পাকিস্তান-শাসিত কাশ্মীরকে বিভক্তকারী নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে সংঘর্ষে ভারতের সশস্ত্র বাহিনী ৪০ থেকে ৫০ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। ৫০ ভারতীয় সেনা হত্যায় পাকিস্তানের দাবির বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি। দিল্লিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো কথা বলেননি।

ভারতে ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা :

পাকিস্তান ৮টি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করেছে ভারত। এছাড়াও এফ-সিক্সটিনসহ দুটি যুদ্ধ বিমান ভূপাতিতের দাবি করেছে দেশটির গণমাধ্যম। হামলার আশঙ্কায় ১৫ শহরে ব্ল্যাক আউট করা হয়েছে। তবে হামলার দাবি অস্বীকার করেছে পাকিস্তান। সিএনএন, এনডিটিভিসহ আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এসব তথ্য জানিয়েছে।

ভারতীয় প্রতিরক্ষা সূত্র সিএনএনকে জানিয়েছে, পাকিস্তান থেকে ভারত-শাসিত কাশ্মীরের দিকে আটটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে। বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট এগুলোকে বাধা দিয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। পাঞ্জাব রাজ্যের পাঠানকোটও হামলার মুখোমুখি। তবে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

প্রতিবেদন বলছে, ভারত-পাকিস্তানের হামলা-পাল্টা হামলা চলছেই। গত মঙ্গলবার রাতে পাকিস্তানে অভিযান চালিয়ে শতাধিক সন্ত্রাসীকে হত্যার দাবি করেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি পাকিস্তানের লাহোরে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসের দাবিও করেছে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।

এদিকে কাশ্মীর সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় গোলার আঘাতে বেশ কয়েকজন ভারতীয় সেনা নিহতের দাবি করেছে পাকিস্তান। একই সঙ্গে ভারতের ২৫টি ড্রোন ভূপাতিতের দাবিও করেছে দেশটি। পাকিস্তান বলছে, তাদের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করার জন্য ভারত এসব ড্রোন মোতায়েন করেছিল।

পাকিস্তানের পাল্টা হামলা শুরুর পর রাতে শ্রীনগরসহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে ব্লাকআউট করে দেওয়া হয়। চন্ডীগড় শহরের প্রশাসন বলছে, বিমান হামলার সংকেত দিতে সাইরেন বাজানো হয় এবং দ্রুত ব্ল্যাক আউট করে দেওয়া হয়েছে। জম্মুরই আরেক শহর রাজৌরিতে প্রশাসন ব্ল্যাক আউট করে দিতে সাধারণ মানুষকে অনুরোধ করেছে। এর আগে জম্মু অঞ্চলের বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে বিস্ফোরণের আওয়াজ পাওয়া গেছে।

ভারতীয় দাবি মনগড়া ও মিথ্যা : পাক তথ্যমন্ত্রী

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী আতাউল্লাহ তারার ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত একটি দাবিকে ভুয়া ও বানোয়াট বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, ভারত কর্তৃক পাকিস্তানের এফ-১৬ ও জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার দাবি অযৌক্তিক ও মিথ্যা। তার ভাষায়, এ ধরনের গালগল্প কেবল ভারতের হতাশা প্রতিফলিত করে। তথ্যমন্ত্রীর দাবি, এসব মিথ্যা প্রচারণা দিয়ে ভারত কিছু অর্জন করতে পারবে না। তিনি একে সম্পূর্ণভাবে পরিত্যাজ্য বলে উল্লেখ করেছেন।

এদিকে পাকিস্তানের নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, ভারতের হারোপ ড্রোন হামলা ব্যর্থ হওয়ার পর দিল্লিতে আতঙ্ক বিরাজ করছে। সূত্রগুলো আরও দাবি করেছে, রাজস্থান, পাঠানকোট এবং ভারত-শাসিত অঞ্চলগুলোতে হামলার যে খবর প্রচার করছে ভারত, সেটিও ভুয়া ও ভিত্তিহীন। পাকিস্তানের নিরাপত্তা বাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ভারতের এমন ঘৃণ্য ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় তারা সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে।

ভারতের সেনা স্থাপনায় হামলা, অস্বীকার পাকিস্তানের :

ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করছে, পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কোনো হামলার দায় তার দেশের নয়।
ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের এক্স হ্যান্ডলে লিখেছে, সেসব ‘হামলা’র ফলে তাদের কোনোরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং হামলাগুলো নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, জম্মু, পাঠানকোট আর উধমপুরে সামরিক ঘাঁটির ওপরে পাকিস্তানের দিক থেকে ড্রোন আর ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে আক্রমণ করা হয়। এসব হামলা রুখে দেওয়া গেছে। জানমালের কোনো ক্ষতি হয়নি।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার রাতে তীব্র বিস্ফোরণের খবর আসার পর ভারতে কোনো হামলা চালানোর কথা অস্বীকার করেছেন পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।

পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বিবিসিকে বলেন, পাকিস্তানের মিত্র দেশগুলো তাদের সংযত থাকারই পরামর্শ দিয়েছে। সেই সঙ্গে তিনি যোগ করেন, পাকিস্তান নিজেকে এখনও পর্যন্ত ‘সংযত রেখেছে’।

ভারতে ২৪ বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা :

পাকিস্তানের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যেই ভারতের পাঞ্জাব, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, গুজরাট, রাজস্থান ও হিমাচল প্রদেশের ২৪টি বিমানবন্দর বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচলের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেসামরিক বিমান চলাচল নিরাপত্তা ব্যুরো (বিসিএএস) দেশটির সব বিমান সংস্থা ও বিমানবন্দরকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছে। নির্দেশনা অনুযায়ী, সব বিমানবন্দরে সকল যাত্রীর জন্য সেকেন্ডারি ল্যাডার পয়েন্ট চেকিং (এসএলপিসি) করা হবে।

বিমানবন্দরে টার্মিনাল ভবনে দর্শনার্থীদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। এয়ার মার্শালও মোতায়েন করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এয়ার ইন্ডিয়া বিসিএএসের উদ্ধৃতি দিয়ে এক্স হ্যান্ডলে জানায়, এখন থেকে অভ্যন্তরীণ যাত্রীদের তিন ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে পৌঁছাতে হবে এবং চেক-ইন ৭৫ মিনিট আগে বন্ধ করে দেওয়া হবে।

এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে ভারতের সেনাবাহিনী দাবি করছে, পাকিস্তান ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উধমপুর এবং পাঞ্জাবের পাঠানকোটের তিনটি সামরিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র আর ড্রোন দিয়ে হামলা চালিয়েছে। তবে পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ ভারতের এই অভিযোগ নাকচ করে বলেছেন, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কোনো হামলার দায় তার দেশের নয়।

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ ‘আমাদের দেখার বিষয় নয়’, বললেন ভ্যান্স

ভারত ও পাকিস্তানের নিজেদের মধ্যকার উত্তেজনা নামিয়ে আনা উচিত মন্তব্য করে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র এই পারমাণবিক শক্তিধর দুই এশীয় প্রতিবেশীকে নিয়ন্ত্রণ করে না এবং তাদের মধ্যে যুদ্ধ মোটেও ‘আমাদের দেখার বিষয় নয়’। “আমরা চাই যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমে যাক। যদিও আমরা এই দেশগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না।

“আমরা যেটা করতে পারি তা হলো উত্তেজনা কমাতে তাদেরকে খানিকটা উৎসাহিত করার চেষ্টা করতে পারি, কিন্তু আমরা একটা যুদ্ধের মাঝখানে গিয়ে জড়িয়ে পড়তে পারি না, কার্যত যেটা আমাদের দেখারই বিষয় নয় এবং আমাদের নিয়ন্ত্রণক্ষমতার বাইরে,” বৃহস্পতিবার ফক্স নিউজের ‘দ্য স্টোরি উইথ মার্থা ম্যাককালাম’ অনুষ্ঠানে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ভ্যান্স এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব মোকাবেলায় ওয়াশিংটনের যে লক্ষ্য তাতে ভারত তাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার; এদিকে পাকিস্তানকে এখনও যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র হিসেবেই দেখে, যদিও ২০২১ সালে আফগানিস্তান থেকে ওয়াশিংটন সৈন্য প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর তার কাছে ইসলামাবাদের গুরুত্ব অনেকটাই কমে এসেছে।

বিশ্লেষকদের পাশাপাশি সাবেক কয়েক মার্কিন কর্মকর্তা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের মূল নজর এখন ইউক্রেইন-রাশিয়া ও গাজা যুদ্ধ থেকে কূটনৈতিক লক্ষ্য হাসিল করা। যে কারণে তারা ভারত ও পাকিস্তানকে উত্তেজনা কমিয়ে আনতে সরকারিভাবে কোনো ধরনের চাপ দিচ্ছে না।

বৃহস্পতিবারও নয়া দিল্লি ও ইসলামাবাদ একে অপরের বিরুদ্ধে ড্রোন হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। দুই দেশের মধ্যে দুই দিনের সংঘাত এরই মধ্যে অন্তত অর্ধশত লোকের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহতের পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে পৌঁছায়। নয়া দিল্লি এই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করলেও পাকিস্তান তা অস্বীকার করে পেহেলগামে হামলার নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়েছে।

“আমাদের আশা ও প্রত্যাশা হলো- এটি যেন বিস্তৃত আঞ্চলিক যুদ্ধ বা ঈশ্বর না করুন, পারমাণবিক সংঘাতে পরিণত না হয়,” বৃহস্পতিবার বলেছেন ভ্যান্স।

মার্কিন এ ভাইস প্রেসিডেন্ট ‘আমাদের দেখার বিষয় নয়’ বললেও সাম্প্রতিক দিনগুলোতে ওয়াশিংটনকে ভারত ও পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলতে দেখা যাচ্ছে। বৃহস্পতিবারও মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফোনে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি উত্তেজনা কমিয়ে আনতে ও সরাসরি সংলাপে বসতে আহ্বান জানিয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সাম্প্রতিক উত্তেজনা বৃদ্ধিকে ‘লজ্জাজনক’ অ্যাখ্যা দিয়েছেন। পাল্টাপাল্টি হামলার পর দুই দেশ এখন থামবে বলে বুধবার তিনি আশাও প্রকাশ করেছিলেন। সঙ্কটের ‘দায়িত্বশীল সমাধান’ খুঁজে নিতে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় দুই দেশকে একসঙ্গে কাজ করারও আহ্বান জানিয়েছিল।

রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ সরিয়েছে ভারত, প্রমাণ পেয়েছে বিবিসি :

ভারতের পাঞ্জাবের একটি কৃষিক্ষেতে রাফাল যুদ্ধবিমানের ধ্বংসাবশেষ পড়েছিল এবং সেনা সদস্যরা সেগুলো সরানোর কাজে যুক্ত ছিলেন, বিবিসি ভেরিফাই তার প্রমাণ পেয়েছে। ফ্রান্সের ডাসোঁ এভিয়েশনের তৈরি রাফাল হলো ভারতীয় বিমানবাহিনীর সম্ভারে সবচেয়ে আধুনিক ও বিধ্বংসী যুদ্ধবিমান।

এর আগে গত বুধবার পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ভারতের সামরিক অভিযানের সময় তারা অন্তত পাঁচটি যুদ্ধবিমানকে ভূপাতিত করেছে, যার মধ্যে অন্তত তিনটি রাফাল আছে বলেও বলা হয়েছিল। যদিও সেই দাবির পক্ষে কোনো ছবি বা ভিডিও পেশ করা হয়নি, ভারতও সে কথা স্বীকার করেনি। ফলে বিষয়টি নিয়ে অস্পষ্টতা ও সংশয় ছিলই।

তবে বিবিসির তথ্য ও খবর যাচাই করার বিভাগ “বিবিসি ভেরিফাই” তাদের নিজস্ব অনুসন্ধানে এমন তিনটি ভিডিও “অথেন্টিকেট” করতে পেরেছে বা সত্যতা যাচাই করতে পেরেছে – যাতে ফ্রান্সের নির্মিত রাফাল বিমানের ধ্বংসাবশেষ দেখা গেছে, যেগুলো ভারতের বিমানবাহিনী ব্যবহার করে থাকে।
এই তিনটি ভিডিও ক্লিপের একটিকে “জিওলোকেট” করে সেটি ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশের ভাতিন্ডার কাছের একটি জায়গা বলেও চিহ্নিত করা হয়েছে। ওই ক্লিপটিতে দেখা যাচ্ছে সেনা সদস্যরা বিধ্বস্ত বিমানটির ধ্বংসস্তূপ থেকে বিভিন্ন অংশ অন্যত্র সরিয়ে ফেলার কাজ করছেন।

সেই একই লোকেশনে আরও দুটি ভিডিও বিবিসি ভেরিফাই-এর হাতে এসেছে, যে ছবিগুলো রাতের অন্ধকারে তোলা হয়েছে। এর একটি ভিডিওতে কৃষিক্ষেতে ধ্বংসাবশেষ পড়ে থাকতে দেখা গেছে। অন্যটিতে দেখা গেছে মাঝআকাশে একটি প্রোজেক্টাইলে আগুন ধরে যাচ্ছে, তারপর ক্ষেতের মাঝখানে দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে।

ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা ও বর্তমানে একটি রিস্ক ইনটেলিজেন্স সংস্থার কর্ণধার জাস্টিন ক্রাম্প বিবিসি ভেরিফাইকে বলেছেন, তিনি ধারণা করছেন ওই ধ্বংসাবশেষ একটি ফরাসি এয়ার-টু-এয়ার মিসাইলের, যে ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র মিরাজ-২০০০ ও রাফাল উভয় যুদ্ধবিমানেই ব্যবহার করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও একটি ছবিও ঘুরে বেড়াচ্ছে, যাতে একটি বিমানের “টেইল ফিন” মাটিতে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে – যার গায়ে “বিএস০০১” ও “রাফাল” ইংরেজিতে লেখা আছে। গুগলে “রিভার্স ইমেজ সার্চ” করেও এই ছবির কোনো পুরোনো সংস্করণ খুঁজে পাওয়া যায়নি, যা থেকে মনে করা যেতে পারে এই ছবিটিও একেবারেই নতুন ও সাম্প্রতিক।

পাকিস্তান সত্যিই ভারতের কোনও যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে কি না, ভারত বৃহস্পতিবারও এই প্রশ্নের জবাব এড়িয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দিনের মতো “অপারেশন সিন্দুর” নিয়ে দিল্লিতে সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফ করতে উপস্থিত হয়েছিলেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিশ্রি।

ভারতের পাঁচটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার পাকিস্তানি দাবি সম্বন্ধে জানতে চাওয়া হলে বিক্রম মিশ্রি বলেন, “সঠিক সময় এলে এ ব্যাপারে সরকারি তথ্য আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা হবে।” বিবিসি বাংলা

এদিকে, ভারতের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক পোস্ট ধ্বংসের দাবি পাকিস্তানের। পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। হাজি পির সেক্টরে ভারতীয় বাহিনীর বিরুদ্ধে কার্যকর প্রতিশোধমূলক অভিযান পরিচালনা করেছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী। সেখানে নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ঝান্ডা জিয়ারত পোস্ট ধ্বংসের দাবি করেছে পাকিস্তান। মূলত ভারতের হামলার পর পাকিস্তানও পাল্টা হামলা শুরু করেছে।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon