আজ রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০৯ অপরাহ্ন
× বিজিবির অভিযান, অস্ত্র-ড্রোনসহ প্রযুক্তি সরঞ্জাম উদ্ধার
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
ফের অশান্ত খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির পাহাড়ি এলাকা। খাগড়াছড়ির দীঘিনালা ও সদর উপজেলায় পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও
অন্তত ১৭ জন। তাদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
নিহতর হলেন—ধনঞ্জয় চাকমা (৫০), রুবেল ত্রিপুরা (২৫) ও জুনান চাকমা (২০)। গুলিবিদ্ধ চারজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের পায়ে, কোমরে ও পেটে গুলি লেগেছে।
শুক্রবার সকালে চট্টগ্রাম রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আহসান হাবিব পলাশ বলেন, দীঘিনালায় আহত ধনঞ্জয় গত রাত সাড়ে ১০টায় এবং সদরে আহত রুবেল ও জুনান রাত দেড়টায় মারা যান। খাগড়াছড়ি আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘খাগড়াছড়ি শহরে রাতে গুলির শব্দ শোনা গেছে। সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টহল দিচ্ছে।’
এদিকে, বান্দরবানের দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়ায় সন্ত্রাসী আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। সেই আস্তানা থেকে অস্ত্র-গোলাবারুদ, ড্রোন ও সিগন্যাল জ্যামারসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তির বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিজিবি সদরদপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, বিশেষ গোয়েন্দা সূত্রের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায়, বান্দরবানের রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকা সংলগ্ন গহীন জঙ্গলে একটি আস্তানা স্থাপন করে একদল পাহাড়ি সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালাচ্ছে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিজিবির রুমা ব্যাটালিয়নের (৯ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিবুল হকের নেতৃত্বে রুমার দুর্গম সীমান্তবর্তী দোপানিছড়া এলাকার আনুমানিক সাড়ে পাঁচ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে সীমান্ত সংলগ্ন পাহাড়ি গহীন জঙ্গলে একটি সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানে সন্ত্রাসীদের আস্তানা থেকে দুটি অটোমেটিক কারবাইন অ্যাসল্ট রাইফেল, একটি সেমি অটোমেটিক অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি এসবিবিএল, ২১ রাউন্ড তাজা গুলি, একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন, একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সিগন্যাল জ্যামার, একটি অডিও/ভিডিও রেকর্ডার, একটি ভিডিও ক্যামেরা, একটি অত্যাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর গোয়েন্দা বোতাম ক্যামেরা, একটি কি-ডিভাইস হিডেন ভিডিও রেকর্ডার, একটি দূরবীণ, দুটি ওয়াকিটকি, একটি ল্যাপটপ, দুটি পাওয়ারফুল লাইট, একটি সোলার সিস্টেম, একটি আকাশ টিভি রিসিভার ও একটি আমব্রেলা, দুটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন, দুটি বাটন মোবাইল ফোন, দেশীয় বিভিন্ন ধারালো অস্ত্র, বাংলা মদ, একটি হেলমেট, রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ এবং রসদসামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এছাড়াও ওই স্থানে অবজারভেশন পোস্ট, পরিখা, অস্থায়ী অস্ত্রাগার, বিশ্রামাগার, কুক হাউজ ইত্যাদির সন্ধান পাওয়া যায়। যার সবকিছু সমূলে ধ্বংস করা হয়েছে বলেও জানান বিজিবির এ কর্মকর্তা।
অপরদিকে, খাগড়াছড়ির সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনার পর সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে আরেক পার্বত্য শহর রাঙামাটিতেও। এতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৪৪ ধারা জারি করেছে প্রসাশন।