আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ১০:৩২ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
হঠাৎ করেই ভয়াবহ দাবানল ছড়িয়ে পড়েছে ইসরায়েলের কয়েকটি এলাকায়। বিমান, হেলিকপ্টার মোতায়েন করেও আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েলের উদ্ধৃতি দিয়ে এই খবর জানিয়েছে জেরুজালেম পোস্ট।
টাইমস অব ইসরায়েল এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা এবং তীব্র বাতাসের কারণে বেশ কয়েকটি জায়গায় বুধবার (২৩ এপ্রিল) আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বিবেচনায় পুলিশ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রীয় শহর খালি করে দিয়েছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বেইত শেমেশ এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ফলে এশতাওল, বেইত মেইর এবং মেসিলাত জিওন থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পুলিশ ওই এলাকা থেকে জেরুজালেমে যাওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে।
জানা গেছে, আগুন প্রথমে শহরের কেন্দ্রস্থলের কাছে মোশাভ তারুমের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর কাজ শুরু করার সময় প্রবল বাতাসের কারণে তা আরও বেড়ে যায়।
ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ অথরিটির একজন মুখপাত্র ‘টাইমস অব ইসরায়েল’কে জানিয়েছেন, এই আগুনে ৯ জন সামান্য আহত হয়েছেন। এরমধ্যে সাত জন দমকলকর্মী এবং দুজন বেসামরিক ব্যক্তি রয়েছেন।
অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কর্তৃপক্ষ আগুন নেভানোর জন্য ছয়টি জেলা থেকে অগ্নিনির্বাপকদের তালিকাভুক্ত করেছে এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফও আগুন নেভানোর কাজে যোগ দিয়েছে।
বেইত শেমেশের উত্তরে দাবানল নেভাতে প্রায় ১১০টি অগ্নিনির্বাপক দল, ৮টি অগ্নিনির্বাপক বিমান এবং একটি হেলিকপ্টার কাজ করছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ফুটেজে দেখা গেছে, রেহোভোটের কাছে মহাসড়ক ধরে হেঁটে যাওয়া লোকজনের ভিড়, চারিপাশ ভারী ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন।
মধ্য ইসরাইলে ভয়াবহ দাবানলে প্রায় ২,৫০০ একর জমি পুড়েছে। এ সময় অন্তত নয়জন আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজন দমকলকর্মী রয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) মিডল ইস্ট মনিটরের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের দাবানল ভবিষ্যতে আরো বাড়তে পারে। এর পেছনে জলবায়ু পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব কাজ করছে। গ্রীষ্মের আগেই তীব্র তাপপ্রবাহ ও শুষ্ক আবহাওয়া এই আগুন লাগার প্রবণতাকে কয়েকগুণ বাড়িয়ে তুলছে।
প্রসঙ্গত, এটাই প্রথম নয়; দীর্ঘ ও শুষ্ক গ্রীষ্মকালের কারণে ইসরায়েলে এর আগেও অনেকবার দাবানল ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৯৮৯, ১৯৯৫, ২০১০, ২০১৫, ২০১৯, ২০২১ এবং ২০২৩ সালে বড় ধরনের দাবানল ছড়িয়ে পড়ে সেখানে।