আজ বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম পীর সাহেব চরমোনাই বলেছেন, কালো টাকা, পেশীশক্তি ও সন্ত্রাসমুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচনী ব্যবস্থার বিকল্প নেই। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে ভোটারদের ভোটের প্রকৃত মুল্যায়ন হয়। এছাড়া প্রচলিত সাধারণ ভোটে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধির ক্ষেত্রে ৩৩ ভাগ ভোটের ভোট কাজে লাগে অন্যদিকে ৬৫ থেকে ৬৭ ভাগ ভোটারের ভোট মুল্যহীন হয়। পিআর পদ্ধতির নির্বাচনে এককভাবে কোন দল সরকার গঠন করতে পারে না। ফলে ফ্যাসিস্ট হওয়ারও ভয় থাকে না। তাছাড়া এককভাবে ভোটে নির্বাচিত সরকার জালিমের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়ে উঠে। অন্যদিকে পিআর পদ্ধতির নির্বাচত সরকার হয় জাতীয় সরকার। কাজেই বাংলাদেশের বিগত ৫৩ বছরের ইতিহাসের আলোকে বলা যায় এদেশে এখন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন জাতীয় সরকারের।
মঙ্গলবার রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড নলচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, ৫নং চরমোনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাওলানা সৈয়দ মুহাম্মাদ জিয়াউল করিম, মডেল থানা উত্তর সভাপতি মাওলানা মুফতী শাহাদাত হোসাইন নূরী, হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ তরিকুল ইসলাম, মাওলানা হাসান রুহানী, মাওলানা মুহাম্মাদ রেজাউল করিম, মাওলানা নাজমুল হুদা। জনাব আবদুর রব হাওলাদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সমাবেশে থানা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড নেতৃবৃন্দবক্তব্য রাখেন
ইসলামী আন্দোলনের আমীর বলেন, বিগত ১৬ বছর এেদেশের মানুষ জুলুম, নির্যাতন ও বঞ্চনার শিকার হয়ে ছিলো। মানুষ ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত ছিলেন। দলীয় বিবেচনায় সবকিছু হতো। গুম-খুনের অভয়ারণ্যে দেশ ছিল অত্যন্ত ভয়াবহ ব্যবস্থায়। বিগত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে দেশ ফের স্বাধীনতা লাভ করে। মানুষ বকু ফুলিয়ে কথা বলতে পারছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যূত্থানে গণহত্যাকারী সরকারের বিচার করতে হবে।