আজ সোমবার, ১৩ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:০১ অপরাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “বিএনপি একা নয়, সব রাজনৈতিক দল ও শ্রেণিপেশার মানুষ একত্রিত হয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে। যেভাবে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে স্বৈরাচারকে বিদায় করেছে, তেমনি দেশকে পুনর্গঠন করতে হলে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারীতে এক জনসভায় লন্ডন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, বিচার বহিভূর্ত সকল গুম, খুন ও হত্যাকান্ডের বিচার এই বাংলার মাটিতেই হতে হবে ইনশাআল্লাহ। পালিয়ে কেউ পার পাবেন না। দেশকে গণতান্ত্রিক নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মধ্যে আনতে হবে। বিগত ১৬ বছর স্বৈরাচারী সরকার গোলাম রব্বানীর মতো হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করেছে। লাখ লাখ মানুষকে নির্যাতন করেছে। আমরা আর চাইনা গোলাম রব্বানীর মতো কেউ মৃত্যুবরণ করুক।
তারেক রহমান বলেন, স্বৈরাচার পালিয়ে গেলে তার দোসররা এখনো দেশের আনাচে-কানাচে রয়ে গেছে। তারা দেশের ভিতরে নানা রকম ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। দেশের শিক্ষা, চিকিৎসা, বেকার সমস্যা ও কৃষি ব্যবস্থা থেকে শুরু করে সকল ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে হবে। বিভিন্ন দলের ভিতরে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। কিন্তু দেশের স্বার্থে এক হয়ে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ স্বৈরাচারমুক্ত হলেও সামনে এখন বড় যুদ্ধ। যে অধিকার আদায়ে রব্বানীদের মতো হাজার হাজার রব্বানী জীবন দিয়েছেন, তাদের সেই অধিকার আদায়ে সকলকে এক হয়ে কাজ করা আহ্বান জানান তারেক রহমান। সমাবেশে নীলফামারী, পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার ১২ শহীদ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ছয় লাখ টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করা ছাড়াও গোলাম রব্বানীর পরিবারের কাছে নতুন বাড়ির চাবি তুলে দেয়া হয়। এসময় গোলাম রব্বানীর কন্যা সুমি পিতা হত্যার বিচার চেয়ে কান্নাজড়িত বক্তব্য হাজার হাজার মানুষকে আবেগআপ্লুত করে তোলে।
আমরা বিএনপি পরিবার আয়োজিত ও নীলফামারী জেলা বিএনপির সার্বিক তত্ত্বাবধানে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী, রংপুর অঞ্চলের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হাবিব দুলু, কেন্দ্রীয় বিএনপির কোষাধ্যক্ষ এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সহ-সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুল, জেলা বিএনপি সভাপতি আলমগীর সরকার, সাধারণ সম্পাদক জহুরুল আলম প্রমুখ। আমরা বিএনপি পরিবার আহ্বায়ক আতিকুল রহমান রুমন সভাপতিত্ব করেন সমাবেশের।
২০১৪ সালের ১৫ জানুয়ারি ভোরে পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ঠুনঠুনিয়া গ্রামে মামা আলী হোসেন ও মিয়া হোসেনের বাড়ি থেকে রব্বানীকে তুলে নিয়ে যায় র্যাব। এর কিছুদিন পর ১৮ জানুয়ারি সকাল ৭টায় নীলফামারীর পলাশবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের অদূরে আরাজি গ্রামের একটি বাশঁঝাড় থেকে তার গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়। গোলাম রব্বানী নীলফামারী সদর উপজেলার লক্ষীচাপ ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন।