আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
অবশেষে সাংবাদিক সুরক্ষা আইন প্রণয়নের সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। শনিবার এক ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে কমিশন নেতৃবৃন্দ সাংবাদিক সুরক্ষা আইনসহ বেশ কয়েকটি সুপারিশ করেন।
গণমাধ্যমকে স্বাধীন, শক্তিশালী ও বস্তুনিষ্ঠ করার লক্ষ্যে সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে নবম গ্রেডে বেতন দেওয়ার প্রস্তাব করেছে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন।
শনিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের হাতে গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন কমিশনের প্রধান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক কামাল আহমেদ।
সাংবাদিকদের বেতন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা দিতে হবে। এটি না দেওয়ার ফলে অনেকে অনৈতিক কাজে জড়াচ্ছে। তবে বেতন-ভাতার ওয়েজবোর্ডে আমাদের এখতিয়ার না থাকলেও আর্থিক নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে। ন্যূনতম নবম গ্রেড অনুযায়ী একজন সাংবাদিকের বেতন হতে হবে। পাশাপাশি রাজধানীতে কর্মরত সাংবাদিকদের ঢাকা ভাতা দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিসিএস ক্যাডারদের এন্ট্রি ৯ম গ্রেডের যে বেতন, সাংবাদিকতা শুরুর বেতন তার সঙ্গে মিল রেখে যেন করা হয় প্রতিবেদনে সেই সুপারিশ করা হয়েছে।
কামাল আহমেদ বলেন, এটা সারা দেশেই নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া ঢাকায় এর পাশাপাশি ‘ঢাকা ভাতা’ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। সাংবাদিকতা করতে হলে ন্যূনতম স্নাতক পাসের যোগ্যতা থাকতে হবে। প্রথমে ‘শিক্ষানবিশ সাংবাদিক’ হিসেবে কাজ করতে হবে। শিক্ষানবিশ হিসেবে এক বছর কাজ করতে হবে। এরপর প্রমোশন পাবে।
এছাড়াও কমিশন প্রধান বলেন, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা দিতে সাংবাদিকতা সুরক্ষা আইন তৈরির সুপারিশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে সেই আইনের খসড়াও তৈরি করে দেয়া হয়েছে।
একজন ব্যক্তি একটিমাত্র গণমাধ্যমের মালিক হতে পারবেন এমন প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে বলেও জানান গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান।
এছাড়া ওয়ান হাউস ওয়ান মিডিয়ার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বেতারকে স্বায়ত্তশাসন দিতে হবে। দুটি প্রতিষ্ঠানের সমন্বয়ে জাতীয় সম্প্রচার সংস্থা তৈরি করতে হবে। এই সংস্থাকে স্বায়ত্তশাসনের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে। এর বাইরে অনলাইন পোর্টালের জন্য ৭ দফা সুপারিশ করেছে কমিশন। অনলাইন পোর্টালের জন্য গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের ৭ সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা যায়।
এদিকে, গণমাধ্যম কমিশনের যুগোপযোগী সিদ্ধান্ত সমূহের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম। শনিবার সংগঠনটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর গণমাধ্যম কমিশনকে সাংবাদিকদের তালিকা ও নিয়োগ নীতিমালা প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সাংবাদিকদের তালিকা ও নিয়োগ নীতিমালা না থাকায় কথায় কথায় সাংবাদিক ছাঁটাই, হয়রানির ঘটছে। এছাড়া ঈদ এবং পুজোয় সাংবাদিকদের রাষ্ট্রীয় ভাবে উৎসব ভাতা প্রদানসহ গণমাধ্যম শিল্পকে বাঁচাতে সরকারের দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিত।