আজ শুক্রবার, ১৩ Jun ২০২৫, ১০:৪৩ পূর্বাহ্ন
পল্লী জনপদ ডেস্ক ॥
সৌদি আরবজুড়ে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে পালিত হয় মুসলমানদের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব ‘ঈদ-উল-আযহা’। এই দিনটি মুসলিম বিশ্বে কুরবানি ঈদ নামেও পরিচিত, যা হজের শেষ দিনে ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগের স্মরণে উদযাপিত হয়। একদিকে পবিত্র হজ এবং অন্যদিকে কোরবানি মিলে সৌদিতে ঈদ-উল-আযহার উৎসব অনন্য রূপ লাভ করে।
আরাফাতের ময়দানে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হওয়ার পরদিন সকালে সৌদি আরবে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
মক্কা, মদিনা, রিয়াদ, জেদ্দা ও অন্যান্য শহরের প্রধান ঈদগাহ ময়দান এবং মসজিদগুলোতে লাখো মুসল্লি ঈদের জামাতে অংশগ্রহণ করেন।
ঈদের খুতবায় মুসলিম বিশ্বের জন্য শান্তি, সহমর্মিতা, আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণের বার্তা তুলে ধরা হয়। নামাজ শেষে মিনা প্রান্তরে কোরবানির মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। সেই পশুর মাংস আত্মীয়স্বজন, দরিদ্র ও প্রতিবেশীদের মাঝে ইসলামের নির্দেশনা অনুযায়ী ভাগ করে দেওয়া হয়।
সৌদি আরবে ঈদ উপলক্ষে ঘরে ঘরে তৈরি হয় ঐতিহ্যবাহী আরবি খাবার যেমন কাবসা, ম্যান্ডি, সাম্বুসা এবং বিভিন্ন প্রকার খেজুর ও মিষ্টান্ন। পরিবারের সবাই একত্রে খাওয়া-দাওয়া করেন এবং আত্মীয়স্বজনদের ঘরে ঘরে গিয়ে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
ঈদ উপলক্ষে দেশের নাগরিক ও প্রবাসী মুসলমানরা যাতে পরিবার-পরিজন নিয়ে উৎসব উদযাপন করতে পারেন তাই কয়েকদিনের ছুটি ঘোষণা করে সৌদি সরকার। নিরাপত্তা ও জনসাধারণের সুবিধার্থে সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় বিশেষ ব্যবস্থা।
এবারের হজে সৌদি আরবে প্রায় ১৪ লাখ হজযাত্রী অংশ নিয়েছেন বলে জানা গেছে, যার মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বিদেশি মুসলিম। বিশ্বজুড়ে মুসলিমদের কাছে এই ঈদ যেমন আত্মত্যাগের প্রতীক, তেমনি সৌদি আরবে এটি এক ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মিলনমেলা।