আজ রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১১:৩৪ অপরাহ্ন

Logo
শিরোনামঃ
জুলাই-আগস্ট গণহত্যা : ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হচ্ছে ফেসবুকে মহানবী (স.)কে নিয়ে কটূক্তি, দুই ছাত্রলীগ কর্মী আটক গণতন্ত্রের ধারা বহমান রাখতে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার : তারেক রহমান আমাকে মোয়া বানানো হচ্ছে : সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন ড. মুহাম্মদ ইউনূস কখনোই বাংলাদেশের গর্বিত ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি : প্রেস সচিব পিরোজপুরে গভীর রাতে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে প্রাইভেটকার খালে, শিশুসহ নিহত ৮ কোন সরকারি চাকরিজীবী চাকরি ছাড়ার পর নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না : জামায়াত দিশেহারা আ’লীগ, শীর্ষ নেতারা আত্মগোপনে, বেশিরভাগ ভারতে ঠাঁই! দ্রব্যমূল্য শিগগিরই সহনীয় পর্যায়ে চলে আসবে : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবশেষে বরখাস্ত উর্মির বিরুদ্ধে মানহানির মামলা
দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ যেন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান! জনমনে ক্ষোভ, অসন্তোষ

দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ যেন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান! জনমনে ক্ষোভ, অসন্তোষ

 

দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রী কলেজ যেন পারিবারিক প্রতিষ্ঠান! জনমনে ক্ষোভ, অসন্তোষ

বিশেষ প্রতিবেদক ॥

ঝালকাঠির নলছিটিতে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তী করে বিএনপি নেতার পরিবারভুক্ত ১৫ জন নারী-পুরুষ বিধিবহির্ভূত চাকুরী গ্রহণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নলছিটি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দপদপিয়া ইউনিয়নের বারবার নির্বাচিত সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদলের প্রতিষ্ঠিত কলেজে এ ঘটনা ঘটেছে।

অভিযোগ সূত্রে ও অনুসন্ধান করে জানা গেছে, দপদপিয়া ইউনিয়ন বিএনপির বিতর্কিত সাধারণ সম্পাদক মো: রিমন আকন আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তী করে বিগত দিনে রাজনীতি করার পাশাপাশি তার পরিবারভুক্ত ১৫ জন নারী-পুরুষকে দপদপিয়া ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজে চাকুরী প্রদান করেছে। এর মধ্যে রিমন আকনের আপন ভাই মরহুম সুমন আকনের স্ত্রী সোনিয়া আক্তারকে অফিস সহকারী পদে, দুই চাচা আবু সাইদ রুবেল আকনকে কারিগরি শাখার প্রভাষক ও তারই আপন ভাই মো: মেজবাহ উদ্দিন দুলাল আকনকে সহকারী লাইব্রেরিয়ান পদে, আপন চাচাতো ভাই মহিউদ্দিন আকনের পুত্র মো: সাদ্দাম হোসেনকে অফিস সহকারী পদে, আপন চাচাতো দুই ভাই তামিম আকনকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট ও তানজিল আকনকে অস্থায়ী এমএলএসএস(এমপিওভুক্ত হয়নি) পদে, তারই বংশের চাচা ফরিদ উদ্দিন আকনকে এমএলএসএস পদে, চাচাতো বোন ইসরাত জাহান রনিকে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ের প্রভাষক পদে, বিএনপি নেতা রিমন আকনের বাসার কাজের বুয়া পারভীন আক্তার পরিকে এমএলএসএস পদে, তারই চাচা মহিউদ্দিন আকনের শ্বশুর বাড়ির আত্মীয় নাসির উদ্দীনকে এমএলএসএস পদে, বংশের চাচা মোস্তফা আকন ও কাজেম আলী আকনকে এমএলএসএস পদে, তারই চাচা মহিউদ্দিন আকনের ভাগিনার স্ত্রী শারমিন আক্তার লিজাকে ল্যাব অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে এবং বংশের চাচা আলম আকনকে এমএলএসএস পদে।

এছাড়াও এই গ্রুপের আরো বহু লোক রয়েছে বলে অভিযোগ আছে তদন্ত করে তাদের নামপ্রকাশ করা হবে। আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ওই কলেজে ঘুরে-ফিরে বিএনপি নেতা রিমন আকনের আত্মীয় স্বজনরা আওয়ামী লীগের সাথে লিয়াজো করে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত হয় এবং বিধিবহির্ভূত নিয়োগের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলে। এছাড়াও ওই কলেজের ভবনে বিএনপির এই নেতার ভাই মরহুম সুমন আকন ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি কিন্ডারগার্টেন চালু করে। যা নিয়ে তৎকালীন সময়ে পত্রিকায় ও মিডিয়ায় ব্যাপক প্রচার হলেও আওয়ামী লীগের সাথে দোস্তীর কারণে কোন ফল হয়নি। বরং কলেজের ভবনে কিন্ডারগার্টেন চালু ছিল।

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খন্দকার অহিদুল ইসলাম বাদল ১৯৯৫ সনে নিজ উদ্যোগে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ওই কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ ইমরানা পারভীন এ বিষয়ে কথা বলতে গেলে জানিয়েছেন যে, তিনি ছয় মাস আগে এই প্রতিষ্ঠানে যোগদান করেছেন। তার যোগদানের পূর্বের বিষয় হতে পারে উল্লেখ করে বলেন, একই পরিবারভুক্ত কিনা তা তিনি জানেন না, তবে তদন্ত করে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন।

একই পরিবারভুক্ত ১৫ নারী-পুরুষের ওই কলেজে চাকুরীর ব্যাপারে নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আনোয়ারুল আজিম বলেছেন, তৎকালীন কলেজ কমিটি কিভাবে ওই নিয়োগ দিয়েছে তা আমাদের জানা নেই। তবে অভিযোগ পাওয়া গেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এ বিষয়ে ওই কলেজের বর্তমান সভাপতি নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নজরুল ইসলাম একই পরিবারভুক্ত ১৫ নারী-পুরুষের একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার কথা শুনে বিস্ময় প্রকাশ করে বলেছেন, অভিযোগ পাওয়া গেলে বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এই ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরপরেই দপদপিয়া ইউনিয়ন এবং নলছিটিতে মানুষের মধ্যে খুব উত্তেজনা বিরাজ করছে। চলছে চায়ের দোকানে আলোচনা, মানুষ যেখানে বংশে কিংবা পরিবারে ১ টা চাকরি পাচ্ছে না সেখানে কিভাবে একই বংশে-পরিবারে ১৫ জনকে চাকরি!

উল্লেখ্য, তার বিরুদ্ধে একাধিক পুলিশের উপর হামলা ও মোটরসাইকেল চুরির মামলাসহ একাধিক মামলা ছিলো। কিছু মামলা এখনো চলমান আছে। যা তদন্ত করলেই বেরিয়ে আসবে থলের বিড়াল।

উপরোক্ত ‌ব্যাপারে তার বক্তব্য সংগ্রহ সম্ভব হয়নি।

শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2017
Developed By

Shipon